হাজীগঞ্জে সম্পত্তি বিরোধে হামলায় আহত ৪
সম্পত্তিগত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারে অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত মিজানুর রহমান (৪০)কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হলেন : পারভীন বেগম (৪০), ফাতেমা বেগম (৩০) ও হৃদয় হোসেন (১৮)। এদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিতে হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঐ বাড়ির হৃদয় হোসেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে একই বাড়ির মাসুদ রানার স্ত্রী সীমা বেগম (৩৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ মামুন (৩০), মাসুদ রানা (৪০) ও মোঃ আজিজ (৩৭)সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঐ বাড়ির জাকির হোসেন গংয়ের সাথে অভিযোগকারী হৃদয় হোসেনের পরিবারের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। ঘটনার দিন সম্পত্তি জবর দখল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদীদের সাথে মিজানুর রহমান ও ফাতেমা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে বিবাদীরা অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে সাথে করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদির দখলীয় ভূমিতে এসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত মিজানুর রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক ভর্তি করিয়ে দেয়।
আহত মিজানুর রহমান বলেন, বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আমাকে হেফাজত করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত না থাকলে বিবাদীরা আমাকে মেরেই ফেলতো।
বিবাদী মাসুদ রানা বলেন, জাকির হোসেনের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে। এ বিষয়ে দুই পক্ষে আদালতে মামলা বিচারাধীন। ঘটনার দিন তারা (বাদী) আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে ছোট ভাই মামুনসহ আমরা ২/৩ জন আহত হয়েছি। তাদের আহতরা এই বাড়ির লোক নয়। তারা বাদীর পক্ষ হয়ে আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।