ইভটিজারের হামলায় ছোট ভাইসহ মাদ্রাসা ছাত্রী আহত
হাজীগঞ্জে ইভটিজার দলের হামলায় ছোট ভাই (১০)সহ আহত হয়েছে এক মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩)। ঘটনার পর ওই ছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দেয়ার পরে পুলিশ অভিযুক্ত ইভটিজার মোঃ ইউসুফ (২৬), তার বন্ধু মোঃ রিয়াদ (২৫)কে আটক করেছে। হামলার ঘটনাটি ঘটে সোমবার উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সাকছিপাড়া অটো রিক্সা স্ট্যান্ডের সামনে সড়কের উপর। ছাত্রী ও তার ভাই ঐ এলাকার নওহাটা ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও ছাত্রীটি নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।
আটককৃত ইউসুফ কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সাকছিপাড়া শাহ আলম মাস্টার বাড়ির শহীদের ছেলে ও রিয়াদ পাশর্^বর্তী ছয়ছিলা গ্রামের বর্ধন বাড়ির ফারুক হোসেনের ছেলে।
ছাত্রীটির বাবার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি স্থানীয় নওহাটা ফাজিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। একই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে ছাত্রীর ছোট ভাই। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে বহু আগ থেকে ইউসুফ পথে ঘাটে বিভিন্নস্থানে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এ সময় ইউসুফের বন্ধুরাও ইভটিজিংয়ে অংশ নিয়ে বাজে কটুক্তি করতে ছাড়ে না। বিষয়টি ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার পরিবারকে জানায়। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ইউসুফের পরিবারকে ঘটনাটি জানানো হয়। পরিবারকে কেন জানানো হলো এমন অজুহাতে ইউসুফ ক্ষুব্ধ হয়ে তার সকল বন্ধু-বান্ধবকে ফোনে জানায়। গত সোমবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটি শেষে ছাত্রীটি তার ভাইসহ বাড়ি ফেরার পথে সাকছিপাড়া অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের সামনে ছাত্রীকে পথ আগলে দাঁড়ায় ইউসুফসহ আর সঙ্গীরা। এ সময় ইউসুফ ছাত্রীটির শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ হয়রানি করতে থাকে। বোনকে অপমানের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা এ সময় ছাত্রীর ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে ভাই-বোনের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওই ইভটিজাররা ছাত্রীকে অপহরণ করাসহ খুন এমনকি ছাত্রীর বসত ঘর-বাড়ি পেট্রোল দিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়ার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ছাত্রীটির ছোট ভাই হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্খ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি জানান, ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্তসহ এজাহার নামীয় অপর এক আসামীকে আটক করেছি। ছাত্রীটির পরিবারের নিরাপত্তাসহ উপজেলায় যেন দ্বিতীয় এমন ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে আমরা নজর রাখছি।