শাহরাস্তিতে ইটভাটা দখলে নিতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট ॥ আহত ২
শাহরাস্তিতে রাতের আঁধারে ইটভাটা দখল করতে এসে হামলা, ভাংচুর ও নগদ ৪ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ২ জন আহত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি বুধবার রাত ১১ টায় উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ভাই ভাই ব্রিকফিল্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে ক্ষতিগ্রস্ত ইটভাটা মালিক ও আহতরা জানান, রাত ১১টার সময় ওই গ্রামের মৃত আঃ হাকিমের পুত্র মিজানুর রহমান ও তার পুত্র ইমতিয়াজ হায়দার রনি (২২), বসুপাড়া গ্রামের ছফিউল্যাহর পুত্র ইয়াসিন (৩৫) এবং ভাড়াটে দুর্বৃত্ত নাসিরসহ ৭/৮ জন ইটভাটার অফিস কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা স্টীলের লকার ভেঙ্গে নগদ ৪ লাখ টাকা লুট ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর এবং অফিসে ঘুমিয়ে থাকা ফিল্ডের স্টাফ খোরশেদ আলম ও সোহাগ হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা ২টি সিএনজি চালিত অটোযোগে পালিয়ে যায়। আহতদের শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইটভাটার ম্যানেজার প্রেমানন্দ দে জানান, হামলাকারীরা অফিস কক্ষে ইটভাটা মালিক মোঃ আলমগীর হোসেনকে না পেয়ে অফিসে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তারা নগদ ৪ লাখ টাকা ছাড়াও ভাটার মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায়।
ইটভাটার মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় আমি অফিসে না থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছি।
পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত বসুপাড়া গ্রামের ছফিউল্যাহর পুত্র ইয়াসিনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
জানা যায়, সূচীপাড়ায় অবস্থিত মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকস্ ২০১০ সালে তিন ভাই এক হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘদিন ব্যাবসা পরিচালনার পর গত ১ জুন দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে মিজানুর রহমান ও শাখাওয়াত হোসেন তাদের মেঝো ভাই মোঃ আলমগীর হোসেনের নিকট বিক্রি করে দেন। উক্ত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ব্রিক ফিল্ড দখলের আশংকায় আলমগীর হোসেন বিজ্ঞ আদালতে ১৪৫ ধারা মোতাবেক নিষেধাজ্ঞা মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা নং-১১।