রঘুনাথপুর বেপারীবাজার এলাকায় মাদকসেবীদের হামলায় হ্যাচারী মালিক গুরুতর আহত
মাদকাসক্তদের হামলায় হ্যাচারী মালিক মুহাম্মদ মাহিদুল ইসলাম (সিয়াম)সহ কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর বেপারীবাজার এলাকার মজিবুর রহমান মোক্তার খান বাড়ি সংলগ্ন সাকিব মৎস্য খামারে। সাকিব মৎস্য খামার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ফরিদগঞ্জ, ইচলী চৌরাস্তা, নানুপুর, ব্রাহ্মণসাখুয়াসহ আশপাশের বখাটে মাদকাসক্ত যুবকদের মাদকসেবনের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে। তারা এ স্থানটি নির্জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টির অগোচরে থাকায় দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারে মাদক সেবনের আখড়া হিসেবে গড়ে তোলে। তাদের বেপরোয়া আচরণের ভয়ে কেউ মুখ ফুটে প্রতিবাদ বা কিছু বলার সাহস না পাওয়ায় তারা এ স্থানে বসেই মাদক সেবনসহ মাদক বিক্রি কার্যক্রম নির্ভয়ে চালিয়ে আসছিল। কিন্তু তাদের এ অপকর্মে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সাকিব মৎস্য খামার। খামারের কর্মরত শ্রমিক ও রাতের আঁধারে জ্বলে উঠা আলো তাদের অপকর্মে বিঘœ ঘটায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে খামারের মালিক মধ্য রঘুনাথপুর আখন্দ বাড়ির মুহাম্মদ নানু আখন্দের ছেলে মুহাম্মদ মাহিদুল ইসলামের উপর। তারা বিভিন্ন উপায়ে খামারের ক্ষতি সাধনসহ খামার বন্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু সমাজ সচেতন শিক্ষিত মুহাম্মদ মাহিদুল ইসলাম তাদের ভয়ে ভীত না হয়ে, তাদের অপকর্ম বন্ধ করার চেষ্টা করলে মাদকাসক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা মাহিদুল ইসলামকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গত ২ জানুয়ারি দুপুর সোয়া ১টার দিকে ২০/২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায় সাকিব মৎস্য খামারে। তাদের আক্রমণে হ্যাচারী মালিক মাহিদুল ইসলাম মারাত্মক আহত হন। হামলার সময় হ্যাচারীর মালিকসহ কর্মরত শ্রমিকদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে মাহিদুল ইসলাম চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। মাদকাসক্তদের হামলায় হ্যাচারীর কয়েকজন শ্রমিকও আহত হন। এ ব্যাপারে হ্যাচারী মালিক উত্তর রঘুনাথপুর এলাকার মোঃ শাকিল গাজী, পিতা বাবুল গাজী; জাহিদ গাজী, পিতা মোঃ ইউনুছ গাজী; রাশেদ শেখ, পিতা মোঃ খোরশেদ শেখ; রিয়াদ গাজী, পিতা আব্দুর রব গাজী; সুজন গাজী, পিতা মালেক গাজী; সবু গাজী, পিতা আলী আকবর গাজী; নাদিম গাজী, পিতা মৃত নুরুল ইসলাম গাজী; হাসিব গাজী, পিতা নজরুল ইসলাম গাজীসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে পুরানবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরজমিনে তদন্তে যান। হামলাকারীদের হামলায় হ্যাচারীর মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে হ্যাচারী মালিক জানান।
হ্যাচারী মালিক মুহাম্মদ মাহিদুল ইসলাম (সিয়াম) জানান, আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করার পর কোনো চাকুরির আশা না করে, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ নামে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে উৎসাহিত হয়ে স্থানীয় মজিবুর রহমান খানকে ব্যাবসায়িক অংশীদার করে যৌথভাবে তারই মালিকানার জমিতে মৎস্য খামারসহ শাকসবজির খামার গড়ে তুলি। হ্যাচারীর পাশে নিত্য নৈমিত্তিক মাদকাসক্তদের উপস্থিতি ও অন্যায় জুলুমের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্যে এ জঘন্য হামলা চালিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।