হাজীগঞ্জে নাতনীকে ধর্ষণ করলো দাদা
হাজীগঞ্জে শিশু (১১) ধর্ষণের অভিযোগ দাদা সুলতান কবিরাজকে (৬৫) আটক করেছে পুলিশ। এর আগে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন শিশুটির বাবা। সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের লোধপাড়া গ্রামে। সুলতান কবিরাজ ঐ গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মৃত রমজান আলী কবিরাজের ছেলে।
পুলিশ জানায়, থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন শিশু ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক মঙ্গলবার দুপুরে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় রায়কে ঘটনাস্থলে পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির সম্পর্কীয় ধর্ষক দাদা সুলতান কবিরাজ পালিয়ে যান। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়রে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও সে ওই এলাকার অসহায়-দরিদ্র প্রতিবন্ধী জুলহাসের বড় মেয়ে।
শিশুটির বাবা জানান, গত বুধবারের আগের বুধবার তার মেয়েকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশে মস্তাক মুড়ায় নিয়ে যায় সুলতান কবিরাজ। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর এ কথা কাউকে না বলার জন্যে হুমকি দেয়। ওইদিনই মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মায়ের কাছে বিস্তারিত জানতে পারি। পরে বিষয়টি তারা (মেয়েটির বাবা ও মা) স্থানীয় প্রভাবশালীদের অবগত করলে তারা সমাধান করে দিবেন বলে জানান।
শিশুটির মা জানান, আমি ঝিয়ের কাজ করা দিনের বেলার অধিকাংশ সময় ঘরে থাকা হয় না। আমার প্রতিবন্ধী স্বামী চা দোকানে থাকেন এবং ছোট ছেলে স্কুলে থাকায় অনেক সময় মেয়েটি ঘরে একা থাকে। এই সুযোগে বাড়ির সম্পর্কে দাদা সুলতান কবিরাজ মেয়েটির সাথে এই খারাপ কাজ করে।
পরে আমি ও আমার স্বামী বিষয়টি পঞ্চায়েতদের জানালে তারা সমাধান করে দিবেন বলে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। তাই ভয়ে পুলিশকে জানাইনি এবং টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসাও করাতে পারিনি। অবশ্য ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি জানান, মঙ্গলবার রাতে অভিযোগ হয়েছে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঐ বৃদ্ধের পারিবারকে চাপ প্রয়োগ করে কৌশলে আটক করা হয়েছে।