র্যাবের হাতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৪ সদস্য আটক
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হাজীগঞ্জের মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে আসাদুল্লাহিল গালিব (১৮)সহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব। বুধবার রাতে রাজধানীর শাহআলী থানার রাইনখোলা ঈদগাহ মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মাঝে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর (দ.) ইউনিয়নের পয়ালজোস গ্রামের শাহ আকবরের ছেলে মামুন।
গ্রেফতারকৃত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছে : ঢাকার মোহাম্মদ আরিফুল করিম চৌধুরী ওরফে আদনান চৌধুরী (৩৮), নোয়াখালীর মোঃ মেহেদী হাসান শাকিল ওরফে বাবু (২০) ও মাগুরার মোঃ নাজমুল হাসান (২৯)। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে জঙ্গি সংগঠনের বই, লিফলেটসহ উগ্রবাদী ডিজিটাল সামগ্রী পাওয়া যায়।
আটক মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে আসাদুল্লাহিল গালিব কচুয়া উপজেলার কাদলা ফাযিল মাদরাসার আলিম (একাদশ) শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ধড্ডা গ্রামের আল আকসা জামে মসজিদে ইমামতি করত। সে মসজিদসংলগ্ন বাড়িতে লজিং থাকতো। রাতে মসজিদের হুজরাখানায় থাকত। তার বাবা শাহ আকবার একই গ্রামের সফরউদ্দিন মিজিবাড়ি জামে মসজিদে ইমামতি করেন।
বুধবার রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে আবদুল আল মামুন আসাদুল্লাহিল গালিবকে আটক করে র্যাব। পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মলে হক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য মামুনসহ চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটক মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে আসাদুল্লাহিল গালিব হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর (দ.) ইউনিয়নের পয়ালজোস গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার দেয়া ইমামতি চাকরি দুই মাস আগে ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সে। সে ২ মাস আগে ফজর নামাজ পড়ে মাদরাসায় গিয়ে আর মসজিদে ফিরে আসেনি।
পয়ালজোস গ্রামের ইউপি সদস্য শাহআলম বলেন, ইমাম শাহ আকবরের তিন ছেলে। মামুন দ্বিতীয় ছেলে। শাহ আকবরের তিন ছেলের সবাই পড়াশোনা করে। মামুনকে এলাকায় কম দেখা যেত। বাবার সঙ্গেই কর্মস্থলে থাকত বলে জানি।
হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন লিটু বলেন, মামুন ধড্ডা আল আকসা জামে মসজিদে ইমামতি করত। তার বাবা শাহ আকবর ওই গ্রামের সফরউদ্দিন মিজিবাড়ি জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। দুই মাস আগে বাবা ও ছেলে চাকরি ছেড়ে চলে যায়।
