মতলব উত্তরে যাত্রীবাহী ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক


মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আসার পথে ধনাগোদা নদীর মাঝখানে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারে শুক্রবার ২২ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কালীপুরসহ স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মানুষ এখন ওই পথে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছে। ট্রলার চালক হানিফ বলেন, গজারিয়ার পাড় থেকে আসার সময় মল্লিক চরের পূর্ব দিকে আসতেই একটি স্পীডবোট হঠাৎ করে সামনে আসে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ৭-৮ জন ডাকাত লাফিয়ে ট্রলারে উঠে বন্দুক ও রামদা দিয়ে আমাদের ভয় দেখায়। আর আমার সাথে ও যাত্রীদের সাথে যা যা জিনিস ও টাকা পয়সা ছিল সব নিয়ে গেছে।
ট্রলারের যাত্রী পাঁচগাছিয়া গ্রামের সোলেমান ও ইমামপুরের ইব্রাহিম বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি থেকে বেঁচে আসছি। অল্পের জন্যে রক্ষা হয়েছে। ডাকাতরা আমাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে বলে, যা যা আছে দিয়ে দে। তারা আরও জানান, এই পথে আমরা সবসময় ঢাকায় যাতায়াত করতাম। এখন থেকে ভয় ঢুকে গেল।
বেলতলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, নদীর মাঝখানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক আমরা খবর পেয়ে জানতে পারি, ১২০ হর্স পাওয়ারের একটি স্পীডবোটে করে এসে ট্রলারটিকে অবরুদ্ধ করে ১০ জন যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও বিভিন্ন জিনিস হাতিয়ে নিয়েছে। চারিদিকে খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা রোধে আরো বেশি তৎপর হবো আমরা।
স্থানীয় এলাকার লোকজন জানান, প্রায়ই এই পথে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মতলব থেকে ঢাকা যাতায়াতের জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রূট। এ রূট দিয়ে অল্প সময়ে ঢাকা যাওয়া যায় বিধায় অনেক লোক এ পথ দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা বন্ধে পুলিশের টহল ডিউটি বাড়িয়ে সার্বিক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা। ষাটনল ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লোকমান জানান, আমরা প্রায়শই শুনি ডাকাতির ঘটনা। উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচলা করবো আমরা।
মতলব উত্তর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ রুটটি মতলববাসীর জন্য ঢাকা যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। সেদিক বিবেচনা করে এ পথে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে বলে শোনা যায়। তাই আমি আইজিপি ও এসপি মহোদয়ের নিকট দাবি জানাই, এ রূটে নিরাপত্তা জোরদার করা হোক।