গাছতলায় নাবালক মেয়ে অপহরণের অভিযোগে আদালতে মামলা
চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন বাগাদী ইউনিয়নের গাছতলা মমিনপুর গ্রামের মাল বাড়ির মোঃ ফরিদ মালের মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনিয়ার মাতা সাহিদা বেগম অপহরণকারী রংপুর জেলার রবিউল (২০) ও তার প্রধান সহযোগী গাছতলা এলাকার খাজা আনোয়ারসহ ৫ জনকে আসামী করে গত ২৯ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। যার নং- ২৮৭/২০১৯।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২নং আসামী খাজা আনোয়ারের মুরগী ও গরুর ফার্ম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য একই গ্রামের হতদরিদ্র সাহিদা বেগম (৩৪) কে মাসিক পাঁচ হাজার টাকায় কাজ দেন আনোয়ার। এ সুযোগে খাজা আনোয়ার সাহিদা বেগমের নাবালক মেয়ে সোনিয়া আক্তারের সাথে সক্ষতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন এবং তাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেন। খাজা আনোয়ার তার মোবাইল ফোনে সোনিয়া আক্তারকে প্রায়ই বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়। সোনিয়া কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খাজা আনোয়ার তার পরিচিত রংপুরের যুবক মোঃ রবিউলকে তার ফার্মে চাকুরি দিয়ে নাবালক সোনিয়া আক্তারের পেছনে লেলিয়ে দেয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সোনিয়াকে অপহরণের একদিন পূর্বে খাজা আনোয়ার সোনিয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে সে তার মা সাহিদা বেগমকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে সাহিদা বেগম খাজা আনোয়ারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এ বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে ও তার মেয়ে সোনিয়াকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরবর্তীতে খাজা আনোয়ারের নির্দেশে গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে ১নং আসামী রংপুর জেলার মোঃ রবিউল সোনিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন রংপুর জেলার মোঃ কাউছার ও স্থানীয় গাছতলা এলাকার মোঃ কালু। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, সোনিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুকৌশলে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে আসামীগণ পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
অপহরণের পর পর সোনিয়ার মা সাহিদা বেগম তার মেয়ে সোনিয়াকে জীবিত অথবা মৃত উদ্ধারের জন্যে সহযোগিতা চেয়ে চাঁদপুর পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে সোনিয়ার মা সাহিদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার মেয়েকে অপহরণের মূল ইন্দনদাতা খাজা আনোয়ার। তার সহযোগিতায় আমার মেয়েকে তারই কর্মচারী রংপুর জেলার মোঃ রবিউল অপহরণ করে রংপুর নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, আমি আদালতে মামলা করায় খাজা আনোয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে মামলা তুলে নিতে বলেন। অন্যথায় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আসামীগণ প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করায় অসহায় সাহিদা বেগম মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার মেয়েকে ফিরে পেতে তিনি পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।