পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ
আদম বেপারীর প্রতারনায় হজ্বে যাওয়া হলো না মুফতি সিরাজুল ইসলামের
চাঁদপুরে আদম বেপারীর প্রতারনায় হজ্বে যাওয়ার সম্পূর্ন অর্থ জমা দিয়েও হজ্বে যাওয়া হলো না চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হযরত মাও: হাফেজ মুফতি মো: সিরাজুল ইসলামের। এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন,ভুক্তভোগী মাও: হাফেজ মুফতি মো: সিরাজুল ইসলাম। এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ(ডিবি)কে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডিবি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখলেও স্থানীয় এক সংবাদকর্মী নামদারী যুবকের কারনে ডিবি বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপন করায় মাও: হাফেজ মুফতি মো: সিরাজুল ইসলামের হজ্বে যাওযার বিষয়টির আশা নিশ্চিত হওয়ার সম্বাবনা থাকলেও পরবর্তীতে বেস্তে যায়। যার ফলে ৭ জনের জন্য জমা দেওয়া ১৯লাখ ২৫ হাজার টাকা,জন প্রতি ২লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েও প্রতারনার শিকার হতে হয়েছে. মুফতি মো: সিরাজুল ইসলামকে। তার হজ্বে যাওয়া বাদ হওয়ায় তার মাধ্যমে অর্থ জমা দিয়ে ও একই সাথে হজ্বে যাওয়া ৬ জন হজ্ব যাত্রী মারাত্বক বিড়ম্বনায় মধ্যে পড়ে অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ২৮ জুলাই হজ্বের উদ্দের্শে সৌদি আরব যেতে হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে জানান। পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া ২২ জুলাইর অভিযোগ থেকে জানা গেছে,চাঁদপুর জেলা শহরের নতুনবাজার এলাকার পূবার্লী ব্যাংকের ৩য় তলায় অবস্থিত অলি ওভাসীজ ট্রাভেলস (লাই:নং ১০৯৩) এর মালিক মো: মাসুম বিল্লাহ্র সাথে ইমাম হযরত মাও: হাফেজ মুফতি মো: সিরাজুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ দিন পূর্বে চুক্তি হয়, হাজী প্রতি ২লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিতে হবে। সে মতে সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে ৮জন হজ্ব যাত্রী হজ্বে যাওয়ার কথা হয় মাসুম বিল্লাহ্র সাথে। এরই মধ্যে ১জন হজ্ব যাত্রী মারা যায়। চুক্তি মোতাবেক ৭জন হজ্ব যাত্রীর অনুকুলে অলি ওভাসীজ ট্রাভেলস এর মালিক মো: মাসুম বিল্লাহ্র নিকট ১৯লাখ ২৫হাজার টাকা জমা দেওয়া হয়। সে মতে মাসুম বিল্লাহ্ ৭জন হজ্ব যাত্রীর হজ্বে যাওয়ার জন্য তাদের পার্সপোট নিয়ে জমা দেন এবং নিবন্ধন,মেডিকেল চেকআপসহ সকল কার্যক্রম শেষ করেন। পরে সে নতুন করে ২লাখ ৭৫হাজার টাকার স্থলে জন প্রতি ৩লাখ টাকা করে দাবী করে। হজ্ব যাত্রীরা মাও: হাফেজ মুফতি মো: সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৩লাখ টাকা করে দিতে হবে শুনে ৭জন হজ্ব যাত্রী বাধ্য হয়ে ৩লাখ টাকা করে দিতে রাজি হন। এরই মধ্যে অলি ওভাসীজ ট্রাভেলস এর মালিক মো: মাসুম বিল্লাহ্ ইমাম মুফতি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ বাদ দিয়ে হজ্ব যাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে হজ্বে যাত্রী নেওয়ার সময় কাছিয়ে আসলে ইমাম মুফতি সিরাজুল ইসলাম মো: মাসুম বিল্লাহ্র সাথে যোগাযোগ করলে সে ৩লাখ টাকা করে দিতে হবে বললে তিনি ৭জনের অনুকুলে হজ্বে যাওয়ার জন্য ২১লাখ টাকার মধ্যে ১৯লাখ ২৫হাজার টাকা দেওয়া আছে,বাকী ১লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য বললে, সে নিবে বলে কালক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে জানান,৬জন হজ্ব যাত্রীকে হজ্বে যাওয়ার জন্য টিকেট চুড়ান্ত করেছেন। মুফতি সিরাজুল ইসলামের মাধ্যমে অলি ওভাসীজ ট্রাভেলস এর মালিক মো: মাসুম বিল্লাহ ৬জন হজ্ব যাত্রী পেলেও সিরাজুল ইসলামকে নেওয়া যাবে না বলে জানান। এ সংবাদ শুনার পর মুফতি সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন মাধ্যমে মো: মাসুম বিল্লাহ্র সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে হজ্বে যাওয়ার জন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের কাছে সরনাপন্ন হন। পুলিশ সুপার ডিবির ওসি নূরে আলম মামুনকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বললে,তিনি অলি ওভাসীজ ট্রাভেলস এর মালিক মো: মাসুম বিল্লাহ্কে ডেকে এনে চাপ প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন,হজ্বে যাওয়ার জন্য টাকা যেহেতু নিয়েছে,সেহেতু ইমাম মুফতি সিরাজুল ইসলামকে যে মূল্যে হজ্বে যাওযার ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলেন। সেও ডিবির ওসিকে কথা দেন,তিনি মুফতি সিরাজুল ইসলাম নেওয়ার সকল চেস্টা করবেন। তবে ২৮ জুলাই হজ্বের যে ফ্লাইট যাবে সেটাতে নিতে পারবেনা ।পরবর্তী গত সোমবার ৫জুলাই শেষ ফ্লাইটে নেওয়ার সকল চেস্টা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী নামদারী যুবক মো: মাসুম বিল্লাহ্র বন্ধু তকে ভুল বুঝানোর কারনে ইমাম হযরত মাও: হাফেজ মুফতি মো: সিরাজুল ইসলামের আর হজ্বে যাওয়া হলোনা। এ ব্যাপারে ইমাম হযরত মাও: হাফেজ মুফতি মো: সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,৭জন হজ্ব যাত্রীর জন্য ২লাখ ৭৫ করে ১৯লাখ ২৫হাজার টাকা জমা দিয়েছি। পরবর্তীতে ৩লাখ করে ২১লাখ টাকা দিতেও রাজি হই। তার পরও প্রতারনা করে আমাকে বাদ দিয়ে ৬জনকে নিয়েছে। জন প্রতি ৩লাখ করে ৬জনের ১৮লাখ টাকা নিলেও তার কাছে এখন ও আমার জমা দেওয়া ১লাখ ৭৫হাজার টাকা জমা রয়েছে। সে টাকা সে না দিয়ে সৌদিতে চলে গেছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশ সুপুার স্যারকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে মো: মাসুম বিল্লাহ সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে সে বলেন, ইমাম মুফতি সিরাজুল ইসলাম আমাকে ১৯লাখ ২৫ টাকা দিয়েছে। পরবর্তীতে হজ্বের খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাকে ৩লাখ করে ২১লাখ টাকা দিতে বলেছি। তিনি টাকা দিতে ও যোগাযোগে বিলন্ব করায় সরকারী নিয়ম মোতাবেক সিরাজ সাহেবের নিবন্ধন করা সম্বব হয়নি। যার কারনে তাকে এ বছর হজ্বে নেওয়া সম্বব হয়নি।