• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার

প্রকাশ:  ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সাখাওয়াতকে আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ২৯ জুলাই বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাখাওয়াত তার সহযোগীসহ ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে চট্টগ্রাম নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। গ্রেপ্তারকৃত সাখাওয়াতকে চাঁদপুরে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর ভাই। মামলা দায়েরের পরেই পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামী উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের পূর্ব ফরাজী বাড়ির আব্দুল লতিফের ছেলে সাখাওয়াতকে আটক করে। এ মামলায় অপর আসামীরা হলো সাখাওয়াতের বড় ভাই মীর হোসেন (২৬) ও বাবা আবদুল লতিফ (৫০) এখনো পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার প্রধান আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীটিকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে একই ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী বাড়ির আবদুল লতিফের ছেলে বখাটে সাখাওয়াত প্রেম নিবেদন করাসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছে। বিষয়টি ছাত্রী তার পরিবারের লোকজনকে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে সাখাওয়াতের পরিবারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও সাখাওয়াতকে থামানো যায়নি। ২৯ জুলাই দুপুরে ছাত্রীটি স্কুলে যাওয়ার পথে সাখাওয়াতসহ কয়েকজন ওই ছাত্রীটিকে নেশা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে অচেতনের পর অপহরণ করে সিএনজি অটোরিক্সায় করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ছাত্রীর জ্ঞান ফিরলে সে বুঝতে পারে সে একটি বহুতল ভবনের বদ্ধ ঘরে আটকে আছে।  সেখানে তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়।
১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় তার গ্রামের বাড়ির সম্মুখে এনে ফেলে রেখে যায় সাখাওয়াত। এ সময় বাড়ির লোকজনের ডাক-চিৎকারে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে সে পরিবারের সকলকে ঘটনাটি খুলে বলে

সর্বাধিক পঠিত