• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে গলাকেটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে হত্যা

প্রকাশ:  ২১ জুলাই ২০১৯, ২৩:০৫ | আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৯, ২৩:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর শহরের ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী (৪৮) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। রোববার (২১ জুলাই) বিকালে শহরের ষোলঘর ওয়াবদা কলোনীর জরাজীর্ন ৪ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষিকার বাড়ী জেলার শাহরাস্তি উপজেলায়। স্বামীর বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলায়। স্বামী অলক গোস্বামীর সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলোনীতে বসবাস করতেন। তার ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে অনন্যা গোস্বামী এশিয়ান ফ্যাসিপিক ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত, ছোট মেয়ে তন্বী গোস্বামী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। একমাত্র ছেলে পার্থ স্বারতী গোস্বামী ঢাকা নটরডেম কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র।

৬৬নং ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল বাবুল জানান, নিহত জয়ন্তী চক্রবর্তী পারিবারিক কাজের জন্য রোববার বিদ্যালয় থেকে ছুটি নেন। বিদ্যালয়ের নথি অনুযায়ী জয়ন্তী চক্রবর্তীর জন্ম তারিখ ১৯৭১ সালের ৪ মার্চ। তিনি চাকুরীতে ১৯৯০ সনের ১৬ মে এবং অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ। তাঁর স্বামী অলক গোস্বামী পানি উন্নয়ন বোর্ডে উচ্চমান সহকারী পদে চাকুরী করতেন। বর্তমানে এলপিআরে আছেন।

চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ওই শিক্ষিকার কাছে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে গেলে বাসার দরজা খোলা ও শিক্ষিকার গলাকাটা অবস্থায় মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। শিক্ষিকার বড় মেয়েকে নিয়ে স্বামী সকালে ঢাকায় যান। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। ওই শিক্ষিকা বাসায় একাছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে রোববারের জন্য ছুটি নিয়েছেন। ঘটনার সময় তার পরিবারের অন্য কোন সদস্য বাসায় ছিলো না।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসায় এসে শিক্ষিকার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি আমাদেরকে প্রথমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান। তাৎক্ষনিক আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ইতোমধ্যে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষিকাকে ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে গলাকাটা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন আলামত ও তথ্য সংগ্রহ করছে। আজকে দুপুরের কোন এক সময় ঘটনাটি ঘটেছে। শিক্ষিকার ৩ ছেলে মেয়ে ঢাকায় পড়া-শুনা করেন। ওনার স্বামী কোন কাজে সকাল ৯টায় লঞ্চযোগে ঢাকায় গিয়েছেন। পুরো ঘটনাটি পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছেন। কি কারণে তার এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। ওই বাসায় টিভি চলছে এবং বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরতে দেখাগেছে। বাসায় লেপটপ, স্বর্ণালংকার ও ব্যাগে কিছু টাকাও রক্ষিত আছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ডও হতে পারে।