• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চান্দ্রায় নববধূ নাহিদাকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় বখাটের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ:  ২১ জুলাই ২০১৯, ২২:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামে নাহিদা আক্তার (১৮) নামে নববধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় থানায় মামলা হয়েছে। হাইমচরের উত্তর আলগী ইউনিয়নের নয়ানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের খোকন জমদারের বখাটে ছেলে সাইফুল ইসলাম জমদারকে প্রধান আসামী এবং তার বাবা ও মাকেও আসামী করা হয় এ মামলায়। গতকাল শনিবার মেয়ের বাবা আব্দুল লতিফ কবিরাজ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রমাণ হিসেবে মেয়েটির হাতের লেখা চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে বখাটে সাইফুল ও তার বাবা-মা ঘর তালাবদ্ধ রেখে পালিয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাখরপুর কবিরাজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচানো নাহিদ আক্তারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর থানা পুলিশ।
গত দুই মাস পূর্বে এই নারীর সাথে হাইমচর উপজেলার জনতা বাজার এলাকার বাসিন্দা নোয়াখালী জেলায় কর্মরত পুলিশের এসআই মজিবুর রহমানের বিয়ে হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, নাহিদা আক্তার হাইমচর কলেজে এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী সাইফুলও একই কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজে একসাথে পড়ার সুবাদে বখাটে সাইফুল ইসলাম নাহিদাকে বিয়ের পূর্বে পথিমধ্যে উত্ত্যক্ত করতো।
বিয়ের পরেও বখাটে সাইফুল স্বামীকে ছেড়ে চলে আসার জন্যে নাহিদা আক্তারকে নানান কথা বলে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। সাইফুলের কথায় রাজি না হলে নাহিদা ও তার পরিবারকে অপমান অপদস্থ হতে হবে বলে হুমকি দেয়। পরে নিরূপায় হয়ে নাহিদা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে তার লেখা চিরকুটে উল্লেখ করে যায়। নিহত নাহিদা আক্তার  দক্ষিণ বাখরপুর কবিরাজ বাড়ির আব্দুল লতিফ কবিরাজের মেয়ে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নাহিদার মৃতদেহ গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার আসামীদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ।