হাজীগঞ্জে হত্যা চেষ্টা ও আগুন সস্ত্রাসের শিকার যুবলীগ নেতা
সম্পত্তিগত বিরোধে হাজীগঞ্জের মনির হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার পর তার বসত ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের তারালিয়া নুর মিয়া মুন্সী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে একটি বসতঘরসহ ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, ধানসহ প্রয়োজনীয় মালামাল এবং পাশের একটি খড়ের স্তূপ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর আগে গত ১২ জুন মনির হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে একই বাড়ির আব্দুল মালেক গং। মনির ওই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় মানবখবর নামের একটি পত্রিকার ম্যানেজার পদে চাকুরি করছেন।
এ ঘটনায় মনিরের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং-১৫) দায়ের করেন। মামলার নামীয় আসামীরা হলেন ঐ বাড়ির আব্দুল মালেকের ছেলে কামাল হোসেন ও ফরিদ (২৭) এবং মেয়ে শিল্পী আক্তার (১৯), মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক (৪৫) ও আব্দুল হাসেম (৪৯), মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে আবুল বাশার (৪৫)।
মনির হোসেন জানান, তারা (আব্দুল মালেক ও তার পরিবার) জামিনে বের হয়ে এসে মামলা প্রত্যাহারের জন্যে আমাদের বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ হত্যার হুমকি দেয়। যার ফলে গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার আমার মা হালিমা বেগম হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-৮৮৪) করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ২১ জুন শুক্রবার দিবাগত রাতে আমাদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি, যারা (প্রতিবেশী) আগুন নেভাতে সেদিন কাজ করেছে, এখন তাদেরকে মামলা-হামলার হুমকি দিচ্ছে আব্দুল মালেক গং। এতে আমি ও আমার পরিবারসহ প্রতিবেশীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুনের ঘটনাটি জেনেছি। এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল মালেকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন রনি জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতেই ঘটনাস্থলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন চন্দ্র নাথকে পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।