• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আমানুল্লাপুরে ঈদের রাতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ॥ থানায় মামলা

প্রকাশ:  ১০ জুন ২০১৯, ১৩:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ঈদুল ফিতরের রাতে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা মোঃ হান্নান মিজি (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হান্নান মিজি গত ৫ দিন ধরে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহতের ভাই চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাপুর গ্রামে।
আহত হান্নান মিজি ও তার পরিবারের লোকজন জানান, আমানুল্লাপুর গ্রামে একটি এনজিও’র অফিস নিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় ওই এলাকার বেপারী বাড়ি ও হাজী বাড়ির লোকজনের মধ্যে কদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই দুই বাড়ির দ্বন্দ্বের জেরে গত ৫ জুন ঈদের দিন দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এদিন রাত ১১টায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী হান্নান মিজি তাদের বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে মহসীন কাজী, সুমন কাজী, শাহাদাত মিয়া, রিয়াদ মিয়া ও বাদশা মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হান্নান মিজির উপর হামলা চালায়। তারা হান্নœান মিজিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও বেদম প্রহার করে গুরুতর আহত করে। তখন তার ডাকচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, হান্নান মিজির শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। শরীরের কয়েকটি স্থানে সেলাই দিতে হয়েছে। অনেক অংশ থেতলে গেছে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই ফয়েজ মিয়া রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আহতের ভাই ছাত্তার মিজি বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, বিবদমান দুই পক্ষের কোনো পক্ষের সাথেই তার ভাই যুক্ত ছিলেন না। অথচ তার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর থেকে আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
এদিকে শান্তিপ্রিয় এলাকায় এমন সন্ত্রাসী ঘটনায় আমানুল্লাপুর গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নজিরবিহীন এ ঘটনার সাথে জড়িত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

 

সর্বাধিক পঠিত