মতলব দক্ষিণে দুই যুবলীগ নেতার উপর হামলা
মতলব পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ চরপাথালিয়া গ্রামের প্রবাসী যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ হামলায় সাইফুল ইসলাম (৩২) ছাড়াও মোঃ ইব্রাহীম (৩৬) গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৫ জন। এ পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রয়মনেননেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সামনে ঈদুল ফিতরের দিন শেষে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায়। গুরুতর আহত সাইফুল ও ইব্রাহিমকে মতলব সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের দু জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহত যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকায় তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে চরমুকুন্দি গ্রামের বাচ্চু প্রধানের ছেলে আনিছুর রহমান আনু, চরনিলক্ষ্মী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে তৌসিফ, কদমতলী গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে আবুল হাসনাত খোকা, চরমুকুন্দি গ্রামের বজলু প্রধানের ছেলে সেলিম হোসেন, সিরাজ সরকারের ছেলে ইমন, ইকবাল মোল্লার ছেলে হাবিব মোল্লা, আবু তাহেরের ছেলে রাকিব হোসেন, কালাম হাজীর ছেলে নাজমুল হোসেন, নোমান মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা, মজিব সওদাগরের ছেলে ফয়সাল সওদাগর, লিয়াকত আলীর ছেলে মাঈনউদ্দিন প্রধানীয়া, তাফাজ্জল হোসেনের ছেলে শিবলী খানসহ ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমাদের উপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাকে সিএনজি স্কুটার থেকে নামিয়ে মারধর করে এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা আমার কাছে থাকা ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও এক্স-মেক্স আইফোন (যার মূল্য ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আহত ইব্রাহিম জানান, আমার পকেট থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট তারা নিয়ে গেছে। সাইফুল ইসলাম আরো জানান, আমি পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে এলাকার নেতা-কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও ঈদ উপহার প্রদান এবং চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল সাহেবের বাড়িতে নেতা-কর্মী নিয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের অপরাধে ওই দুর্বৃত্তরা আমার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজি কার্যকলাপ ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থেকে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে গতকাল ৮ জুন আহত সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আহত যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামকে হাসপাতালে দেখতে যান মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল দেওয়ান, যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক আজিজ বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, মতলব পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবুল বাশার পারভেজ, কাউন্সিলর ওয়াজিদুজ্জামান মৃধা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াদুল আলম রিয়াদসহ নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ আহত সাইফুল ইসলাম ও ইব্রাহিমকে সান্ত¡না দেন।