ইয়াবার গডফাদার হাজি সাইফুল বন্দুকযুদ্ধে নিহত
ইয়াবার গডফাদার সাইফুল ইসলাম ওরফে হাজি সাইফুল করিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা গেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৯টি এলজি, ৪২ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোঁসা এবং এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহত সাইফুল ইসলাম ওরফে হাজি সাইফুল করিম (৪৫) টেকনাফ শিলবুনিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হানিফ ওরফে হানিফ ডাক্তারের ছেলে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সকল গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার প্রধান ইয়াবা গডফাদার এবং দেশের এক নম্বর মাদক ব্যবসায়ী ও টেকনাফ থানার কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি।
ওসি প্রদীপ বলেন, সাইফুলকে গ্রেফতারপূর্বক ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদে সে জানায়, গত কয়েক দিন আগে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে মিয়ানমার থেকে এনে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষপ্রান্তে নাফনদীর পাড়ে মজুদ করা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ওই স্থানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার অপর সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই রাসেল আহমেদ, কনস্টেবল ইমাম হোসেন, সোলেমান আহত হন।
ওসি আরো বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আমার নির্দেশে নিজেদের জীবন ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে পুলিশ ৫২ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে আটক সাইফুল গুলিবিদ্ধ হয়। গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে পুলিশ গুলি করা বন্ধ করে। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করে আসামিদের বিক্ষিপ্তভাবে ফেলে যাওয়া ৯টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৪২ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোঁসা এবং এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
গুলিবিদ্ধ সাইফুল করিম ও আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভোররাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি প্রদীপ।