জিটি রোডে তুচ্ছ ঘটনার জের : আদালতে মামলা
জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে তিনটি পরিবারকে ঘায়েল করতে নানা চক্রান্তের পাঁয়তারা করছে একটি মহল। চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ড জিটি রোড এলাকায় সামু গাজী বাড়ির মোঃ ছিডু গাজীর ছেলে আনোয়ার গাজী (৩০) হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে তার আপন জেঠাতো ভাইদের ঘায়েল করতে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আপন জেঠাতো ভাইদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন আনোয়ার গাজী। ওই মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন আঃ রহমান (৩৮), মামুন গাজী (৩৫), হুমায়ূন গাজী (৪২) ও জাহিদ গাজী(২৮)।
মামলাটির সি আর নং ৫৪৩/১৮, কোর্ট স্মারক-১২৯৯, তারিখ ২৫/০৯/১৮ খ্রিঃ। বিজ্ঞ চাঁদপুর সদর আমলী আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ কামাল হোসাইনের আদেশে মামলাটি চাঁদপুর সদর মডেল থানাকে তদন্ত দেয়া হয়েছে। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন সৈকত দাশগুপ্ত।
জাহিদ গাজী জানান, আমাদের এজমালি সম্পত্তিতে আনোয়ার গাজী জবর দখল করে ঘর উঠান। এতে আমরা তাকে ঘর উঠাতে নিষেধ করি। তিনি কোনো ধরনের কর্ণপাত না করে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘর উঠান। পরে আমরা স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ ও একজন সার্ভেয়ার নিয়ে বাড়িতে বৈঠক করি। আনোয়ার গাজী ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অন্য দাগে জবরদখল করে ঘর উঠান। তার নিজস্ব বিশাল একটি ঘর আছে। তারপরেও তিনি দুটি ঘর জবরদস্তি করে উঠিয়েছেন।
হুমায়ুন গাজী জানান, আমার বাবা আঃ রশিদ গাজী নিজ সম্পত্তি দখলবাজদের থেকে উদ্ধারের জন্যে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার সে প্রেক্ষিতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদকে দায়িত্ব দেন। সে সুবাদে আমরা উভয় পক্ষই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আমাদের কাগজপত্র নিয়ে বসি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় আমাদের বাড়ির ৭ একর ৮ শতাংশ জমি পরিমাপ করতে হবে। কিন্তু এর মধ্যেই আনোয়ার গাজী আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
সামছি বেগম জানান, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত বছর আঃ রহমান ও আনোয়ার গাজীর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই ঘটনায় আঃ রহমান পায়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এদিকে আনোয়ার গাজী নিজেদের রক্ষায় তার মায়ের হাতের কিছু অংশে নিজেরাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে গত ৫ জুন (২০১৮) ভর্তি দেখিয়ে ওইদিনই একটি ইনজুরি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন। আর ওই সার্টিফিকেট দিয়েই আদালতে মামলা করেছে আনোয়ার গাজী।