• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অভিনব অপহরণ : কথিত মামার কাছ থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার করলো পুলিশ

প্রকাশ:  ২৫ মে ২০১৯, ১৫:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মানুষ মানুষে যেমনি চেহারায় পার্থক্য, তেমনি মনের মধ্যেও পার্থক্য। এক কথায় মানুষ বহুরূপী। এই বহুরূপী মানুষ সবই করতে পারে। সেটিই যেনো দেখালো মামারূপী এক অপহরণকারী। ঘটনাটি ঘটলো হাজীগঞ্জে। ৩ বছরের এক শিশুর মাকে বোন বানিয়ে আর শিশুটিকে মামা মামা বলে আদর-সোহাগ করে কৌশলে শিশুটিকে নিয়ে যায় সেই মামা। এর পরেই কথিত সেই মামার ভেতরের রূপটা বুঝতে পারে শিশুর পরিবার। এক কথায় অপহরণ। কিন্তু তখন আর পুলিশের কাছে অভিযোগ দেয়া ছাড়া কিছুই করার ছিলো না পরিবারটির। এর পরেই পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয় সেই শিশু। একই সাথে অপহরণকারী কথিত মামা আটক হয়। শিশুটি উদ্ধারে সফলতা দেখিয়েছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনসহ তাঁর টিম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জের বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের কবিরাজ বাড়ির এক গৃহবধূর সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার মতিরহাট এলাকার মৃধা বাড়ির আসলাম মিয়ার ছেলে রুবেলের। এ পরিচয়ের সূত্রে ওই গৃহবধূর সাথে রুবেল বোন সম্পর্ক তৈরি করে। এই বোন সম্পর্কের রেশ ধরেই মনে মনে বোনের বাচ্চাকে অপহরণ করার জাল বুনতে থাকে প্রতারক রুবেল। গত বুধবার রুবেল হাজীগঞ্জে সেই বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাত্রিবেলা বোন তার ভাইকে রান্না করে খাওয়ায় আর শিশুটি মামার আদরে সব ভুলে যায়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই রাতেই বোনের তিন বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে পালিয়ে যায় কথিত ভাই রুবেল। পরে শিশুটিকে তার পরিবার খুঁজতে গিয়ে দেখে শিশুটির সাথে তার সেই কথিত মামাও বাড়িতে নেই। এর পরেই সেই মামার ফোনে ফোন দেয় শিশুটির মা। ভাইয়ের ফোন বন্ধ পেয়ে শিশুটির মায়ের আর কিছুই বুঝতে বাকি রইলো না।
রাতেই ওই শিশুর পরিবার হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের কার্যালয়ে হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করে। তাৎক্ষণিক লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার ওসির সহযোগিতা চান হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ। পাচারকারীর মোবাইল নাম্বার নিয়ে সিডিআর এনালাইসিসের মাধ্যমে এবং মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে পেয়ে যান পাচারকারীর বিস্তারিত তথ্য। এর পরেই লক্ষ্মীপুর জেলার মতিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আজাদের মাধ্যমে মতিরহাট গ্রামের মৃধা বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন।
এ বিষয়ে শিশুটির পরিবার বাদী হয়ে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করে। আর এ মামলায় সেই প্রতারক ও অপহরণকারী কথিত মামাকে আটক করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি।

 

সর্বাধিক পঠিত