• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে গৃহবধূর রগকাটা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা ॥ শাশুড়ি আটক

প্রকাশ:  ২১ মে ২০১৯, ১৪:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া গ্রাম থেকে সালমা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূর হাতের রগ কাটা অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার গভীর রাতে নিহত সালমার পিতা মহসিন মিয়া বাদী হয়ে সালমার শাশুড়ি আলিমুননেছা ও প্রবাসী স্বামী মাহফুজুর রহমানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সালমার শাশুড়ি আলিমুননেছাকে আটক করলেও পরবর্তীতে হত্যা মামলা দায়ের হওয়ায় তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে।
বাদী মহসিন মিয়ার দাবি, তার মেয়ে সালমাকে তার শাশুড়ি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে শাশুড়ি সালিস বৈঠকের আয়োজন করলেও সেখানে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। একই কারণে তার বড় ছেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন চাঁদপুর বসবাস করে। প্রবাসে থাকা স্বামী মাহফুজুর রহমানের ইন্ধনে শাশুড়ি আলিমুননেছা তাকে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া জানান, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামী হিসেবে গৃহবধূর শাশুড়ি আলিমুননেছাকে আটক করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ঘনিয়া এলাকা থেকে হাতের রগ কাটা অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো সালমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গৃহবধূ আত্মহনন করেছে বলে স্বামীর পরিবার দাবি করলেও সালমার পিতা মহসিন মিয়ার দাবি তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তার অভিযোগ, তার মেয়েকে হাতের রগ কেটে হত্যা করে রোববার দুপুরে ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রচারণা চালাচ্ছে তার শ^শুর বাড়ির লোকজন।
জানা গেছে, ঘনিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাহফুজুর রহমানের সাথে পাশর্^বর্তী হুগলি গ্রামের মহসিন মিয়ার মেয়ে সালমার কয়েক বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের মাহমুদ নামে দুই বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর সালমার বাড়ি উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম এলাকার  হুগলি গ্রামের লোকজন রোববার রাতে ও সোমবার সকালে থানা এলাকায় ভিড় করে। তাদের দাবি, সালমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো তার শাশুড়ি। এরই ধারাবাহিকতায় তার প্রতি নিষ্ঠুর অত্যাচার চালিয়ে হত্যা করা হয়।