• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মায়ের জিম্মায় হাজীগঞ্জের সেই অন্তঃসত্ত্বা নারী ॥ বাকি আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে

প্রকাশ:  ২০ মে ২০১৯, ০৯:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চার বখাটে যুবকের লালসার শিকার হাজীগঞ্জের সেই অন্তঃসত্ত্বা নারী (১৯)কে আদালত তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছে। আর এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামীদের আটকের বিষয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত ৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো আসামীর জামিন হয়নি। আসছে ১৩ জুন অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনক্ষণ দিয়েছে দায়িত্বরত চিকিৎসক। এ বিষয়গুলো চাঁদপুর কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন। এর আগে গত ১০ মে ওই নারী ৪ ধর্ষক ও ২ সালিসসহ ৬ জনকে আসামী করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যে ১ সালিসসহ মোট ৪ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো : উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সালিস অহিদুল ইসলাম (৬০), ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত একই ওয়ার্ডের ডাটরা-শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ির ওরফে চৌকিদার বাড়ির এমরান হোসেন (১৯) ও একই বাড়ির আরেফিন ওরফে আমিনুল (২০)। এ মামলার পলাতক আসামীরা হলো স্থানীয় চৌকিদার বাড়ির রাব্বি (১৮), মেরাজ (২০) ও সালিস মোস্তফা কামাল বিকম (৬৫)।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, মামলাটি তদন্ত হচ্ছে। অন্য আসামীদের আটকের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগী সেই নারীকে আদালতের মাধ্যমে তার মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। অপর এক প্রশ্নে এই কর্তকর্তা জানান, আসছে ১৩ জুন ওই নারীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করেছেন চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ি ওরফে চৌকিদার বাড়ির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক যুবতীর মা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। ফাঁকা বাড়ির সুবাদে মামলার আসামী ৪জন যুবক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই যুবতীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ফলে ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। আর এতে করে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরই মধ্যে সে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। এর পরেই স্থানীয় সালিস ওই চার যুবকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এদিকে সালিস ইউপি সদস্য অহিদুল ইসলাম ও সালিস মোস্তফা কামাল বিকম ঘটনার সমাধান দিতে ওই ৪ যুবকের মধ্য থেকে মেয়েটির পছন্দ অনুযায়ী একজনের সাথে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন। কিন্তু এলাকায় এটি জানাজানি হয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বিষয়টি পুলিশের কাছে চলে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই মেয়েকে গত শুক্রবার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপরই এটি মামলার প্রক্রিয়ায় চলে যায় এবং আসামী আটক হয়।