• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ:  ০৭ মে ২০১৯, ১৪:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 বিয়ের ৫ মাস না পেরোতেই তথা হাতের মেহেদীর রঙ পুরোপুরি না মুছতেই যৌতুকের বলি হতে হলো ফরিদগঞ্জের উম্মে কুলছুমা আঁখি (২০)কে । বাপের বাড়িতেই নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় আঁখির স্বামী আমানত শাহ। পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্যে চাঁদপুর প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে নিহত আঁখির ভাই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে আঁখির স্বামী আমানত শাহ, তার ভাই, ভাবী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফনিশাইর গ্রামের বড় সর্দার বাড়ির গোলাম সারওয়ারের মেয়ে উম্মে কুলছুমা আঁখির সাথে পারিবারিক সম্মতিতে শাহরাস্তি  উপজেলার উয়ারুক গ্রামের আজাগরা মাইজের বাড়ির মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আমানত শাহের বিয়ে হয়।
আঁখির ভাই শাহাদাত জানান, কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর হতেই যৌতুকের দাবির কারণে আঁখির সাথে তার স্বামী ও পরিবারের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ১ মে বুধবার আঁখি তার বাপের বাড়ি ফরিদগঞ্জে চলে আসে। এরপর গত ৪ মে শনিবার তার স্বামী আমানত আঁখিদের বাড়িতে আসে। ওই রাতে আঁখি ও তার স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়। পরদিন রোববার সকালে আঁখির ঝুলন্ত লাশ ঘরের আড়ার সাথে পরিবারের লোকজন দেখতে পান। তবে স্বামী আমানত শাহ এর পূর্বেই পালিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ রোববার লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্যে চাঁদপুর প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে আঁখির ভাই শাহাদাত বাদী হয়ে যৌতুকের জন্যে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ করে ফরিদগঞ্জ থানায় রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জাকারিয়া জানান, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন হবে। এছাড়া  মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সর্বাধিক পঠিত