• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে সেনা কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

প্রকাশ:  ০১ মে ২০১৯, ১২:৩৮
বিশেষ প্রতিনিধি ॥
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা ইউনিয়নের ইসলামপুর দলমগর মিজি বাড়িতে সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে সেনা কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
ওই এলাকার মৃত লোকমান হাফেজের ছেলে সেনা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ও তার ছোট ভাই শুকুর আলমের সাথে তার চাচাতো ভাই নাছির গাজি গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় স্থানীয় সালিশি বৈঠক করেও সমাধান হয়নি।
এক পর্যায়ে নাছির গাজির স্ত্রী ফাহিমা বেগমকে বাদি করে গত ২০/১/২০১৯ তারিখে ঘটনা দেখিয়ে ২৫/০২/২০১৯ তারিখে আমলি আদালতে সেনা কর্মকর্তা ও তার ভাইকে বিবাদী করে একটি মিথ্যা মারামারি মামলা দায়ের করে।
ঘটনার দিন ও তারিখে সেনা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চাঁদপুর শহরে অবস্থান করে। সে তখন বাড়িতে ছিলোনা। কিন্তু তাকে জড়িয়ে এ মিথ্যে মামলা দায়ের করে।
ফরিদগঞ্জ বালিথুবা মিজি বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, জামাল মিজির ছেলেদের সাথে সেনা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ও তার ভাইয়ের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সম্পত্তি দখল করতে না পারায় জামাল মিজির ছেলে রবিউলকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে ফাহিমা বেগম বাদী হয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। কিন্তু সেনা কর্মকর্তার সাথে এ ধরনের মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
রবিউল ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিন মিজি সদর হাসপাতালের ডাক্তারের কাছ থেকে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট এনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ঘটনার আগে ও পরে থেকেই রবিউল এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে সে কোন ধরনের আহত হয়নি এবং মারামারির ঘটনাও ঘটেনি। সে এবার এসএসসি পরীক্ষাও দিয়েছে। কিন্তু ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি থাকলে সে কিভাবে পরীক্ষা দেয়?
সেনা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের মান সম্মান হানি করতে ও হয়রানি করার লক্ষ্যে এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে এবং আমার ছোট ভাইকে দীর্ঘ দুই সপ্তাহ যাবত বিনা কারনে জেল খাটাচ্ছেন। গতকাল ৩০ এপ্রিল এই মামলার হাজিরার তারিখ থাকলেও ১নং স্বাক্ষি নুরেজ্জামানের পুত্র রবিউলকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হলেও সে অসুস্থ্য বলে আদলতে হাজির হয়নি। কিন্তু বিবাদী পক্ষের লোকজন জানায়, রবিউলকে আদালতের বারান্দায় গুরতে দেখা যায়।
এ মামলাটি সম্পর্কে আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: শাহদাত হোসেন এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ডাক্তারি সার্টিফিকেট যত শক্তিশালী হবে মামলা তত শক্তিশালী হবে। সার্টিফিকেট মিথ্যে কি সত্য তা যাচাই করার দায়িত্ব আমাদের না। ডাক্তার ভুল সার্টিফিকেট দিলে তার দায়দায়িত্ব ডাক্তারের। আদালত এ ধরনের মামলা সরাসরি এফ.আই.আর না করে তদন্তও দিতে পারেন। কিন্তু এ মামলাটি তদন্ত না দিয়ে সরাসরি এফ.আই.আর হিসেবে রুজু করা আদেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানায়, ঘটনার দিন সেনা কর্মকর্তা এলাকায় ছিল কিনা সেই বিষয়টি তদন্ত করেছি। মেডিকেল সার্টিফিকেট যদি ভুয়া হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তার আদালতে গিয়ে তা প্রমান করবে।

সর্বাধিক পঠিত