• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে শিক্ষক কারাগারে

প্রকাশ:  ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ০৯:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ কাউছার হোসেন (২৮) নামে এক শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। যদিও অভিযোগকারীর সাথে কাউছারের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। গতকাল বুধবার দুপুুুুরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কাউসারকে আটক করে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স। জান্নাতুল ফেরদাউস (২৪) নামে এক গৃহবধূর ধর্ষণ মামলায় পুলিশ কাউসারকে আটক করে। কাউছার উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের খলিল মিয়া বেপারী বাড়ির মোঃ শাহজামালের ছেলে। জান্নাতুল একই বাড়ির জাকির হোসেনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি কচুয়া উপজেলার পরাণপুর গ্রামে।
জানা গেছে, জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে একই বাড়ির শিক্ষক কাউছার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়োর প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে শারীরিকভাবে ভোগ করে আসছে কাউছার। কিন্তু গত এক বছরেও বিয়ে না করায় জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বাদী জান্নাতুল ফেরদোউস জান্নাত জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী জাকির হোসেন দাম্পত্য জীবনে তাকে সুখ দিতে পারেনি। তাই দুই বছর পূর্বে কাউছারের সাথে কথাবার্তা এবং তার সাথে সম্পর্ক হয়। এক বছর ধরে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে আমাকে বিয়ে করবে বলে বারবার আশ্বাস দিয়ে আসছে। কিন্তু বিয়ে না করায় আমি নিরূপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
জান্নাতের স্বামী জাকির হোসেন জানান, আমার ৮/১০ লাখ টাকা জান্নাত গোপনে কাউছারের হাতে তুলে দিয়ে আমাকে নিঃস্ব করেছে। দীর্ঘদিন কাউছারের সাথে খারাপ কাজ করে আসছে। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার শ^শুরকে জানানোর পর বুধবার দুপরে তিনি এসে জান্নাতকে তার বাবা তাদের বাড়ি (কচুয়া) নিয়ে যান।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন রনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কাউছার হোসেনকে আটক করা হয় এবং বুধবার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং সামাজিক অবক্ষয়।