মেঘনা নদীপাড়ে পুলিশের ব্লকরেইড ॥ ২ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া এলাকার মেঘনা নদীপাড়ে ব্লক রেইড দিয়েছে জেলা পুলিশ। জাটকা রক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ২৫ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর মডেল থানা, পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশ ও জেলা মৎস্য বিভাগের ৩টি টিম যৌথভাবে এই ব্লকরেইড পরিচালনা করে। ব্লকরেইড চলাকালে ওই এলাকার গাজী বাড়ি, মাঝি বাড়ি ও রাঢ়ি বাড়ি থেকে প্রায় ২ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য হবে ৪ লাখ টাকা। অভিযান চলাকালে কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি। এ সময় সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজ আহমেদ মৃধা, পুরাণবাজার ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম, এসআই পলাশ বড়ুয়াসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্য এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানাান, জাটকা রক্ষায় জেলা মৎস্য বিভাগকে সহযোগিতা করতে জেলা পুলিশ জলে এবং স্থলে অভিযান চালাচ্ছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বহরিয়া এলাকায় ব্লকরেইড চালানো হয়েছে। এভাবেই যদি সকল জেলে পাড়ায় ব্লকরেইড করে অধিকাংশ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, তাহলেই নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ নিধন কমে যাবে। সমস্যার গোড়ায় হাত দেয়া দরকার, যেটা এখন করছে জেলা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, জাটকা রক্ষার আমাদের এই অভিযান জেলেদের ভালোর জন্যই। কারণ, জাটকা বড় হলে সেগুলো জেলে ভাইরাই ধরবেন। তাই পোনা ইলিশগুলো বড় হতে দেয়ার জন্যে তাদের সহোযোগিতা প্রয়োজন। জেলে ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা এই অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে নদীতে নামবেন না। কিন্তু এরপরেও কেউ যদি সরকারের নিষেধ অমান্য করে নদীতে নামেন তবে এ ক্ষেত্রে আমরা ছাড় দেবো না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুল বাকি বলেন, অভিযানে প্রায় ২ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। জেলা টাস্কফোর্সের এ অভিযান অভয়াশ্রম চলাকালীন অব্যাহত থাকবে।