নাতিকে জখম করার বিচার চাইতে গেলে নারীকে মারধর
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের খান বাড়িতে বেড়াতে আসা শিশু আব্দুর রহমান (৩)কে একই বাড়ির আরেক শিশু মেহেদী হাসান গাজী (৫) মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আঃ রহমান রক্তাক্ত জখম হয়। আহত এ শিশু রহমানের নানী পেয়ারা বেগম (৪০) মেহেদির অভিভাবকের কাছে নালিশ দিতে গিয়ে তিনি মারধরের শিকার হন। বর্তমানে তারা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল ২৫ মার্চ সোমবার সকাল ৯টায় ধানুয়া গাজী বাড়ির দোলোয়ার গাজীর বাড়ির অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উল্লেখিত উভয় শিশু খেলতে গিয়ে মেহেদী হাসান আব্দুর রহমানে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার মাথার বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। লাঠিটির মাথায় তারকাটা লাগানো ছিলো। খান বাড়ির খোকন খানের স্ত্রী পেয়ারা বেগম তার নাতি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা জানাতে গেলে গাজী বাড়ির দেলোয়ার গাজীর স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০), দেলোয়ার গাজী (৫৫) ও মোক্তার গাজীর স্ত্রী ফাতেমা বেগমের (২৫) মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। এক পর্যায়ে নাজমা, দেলোয়ার ও ফাতেমা একত্রিত হয়ে পেয়ারা বেগমকে বেধড়ক পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে ও মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা নানী পেয়ারা বেগম ও নাতি আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে পেয়ারা বেগমের স্বামী খোকন খান ঢাকা থেকে এসে বিস্তারিত ঘটনা জানার পর রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় জড়িতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম হোসেন জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।