• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কর্তৃপক্ষ নীরব

বাঘড়া বাজারে বালির ব্যবসা জমজমাট ॥ জনদুর্ভোগ

প্রকাশ:  ১৯ মার্চ ২০১৯, ১২:৫২ | আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। ২৪ ঘন্টাই সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন সহ সকল ধরনের ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কের বাঘড়া বাজার এলাকায় যানবাহন চলাচল করার সময় প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বাঘড়া বাজার এলাকা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন ও পথচারীকে চলাচল করতে হচ্ছে। বাঘড়া বাজার এলাকায় মূল সড়কের কোল ঘেঁষে বালির ব্যবসা চলে আসছে।
    ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পত্তির পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি দখল করে বালির ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। এমনকি সড়কের পাশে থাকা প্রায় লাখ খানেক টাকার সরকারি গাছ কর্তন করে সে স্থানে বালি উত্তোলন করে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
    আর স্তূপীকৃত বালি বাতাসে উড়ে গিয়ে যানবাহনের যাত্রী, পথচারী, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের গায়ে গিয়ে পড়ে। যার ফলে তারা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। অপরদিকে মূল সড়কের উপর ট্রাক, পিকআপ, ট্রলি, ভ্যানগাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে গাড়িতে বালি ভর্তি করে থাকে। এতে করে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে চলাচল করে। আর যে গাড়িগুলোতে করে বালি নেয়া হয়, ওই সকল গাড়ির স্টাফরা বালি না ঢেকেই গাড়ি নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলে যায়।
    দেখা গেছে, বোট থেকে বালি উত্তোলনের সময় বালির সাথে উঠে আসা পানি সড়কের এক পাশ থেকে অপর পাশে  গড়িয়ে গিয়ে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। এ সড়কটি দিয়ে নি¤œ শ্রেণীর লোক হতে শুরু করে এমপি, মন্ত্রী ও প্রশাসনের উচ্চ মহলের লোকজন যাতায়াত করলেও মনে হচ্ছে কেউই দেখেনি। আর যদি দেখে থাকতো তাহলে এতোদিন বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতো। আর সরকারি গাছ কর্তন করার বিষয়টি মনে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের অজানা রয়ে গেছে।
    একটি সূত্র জানায়, বালি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে থাকায় সচেতন মহল ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায়নি। পূর্বে বালির ব্যবসা নিয়ে ঠে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষের কোনো টনক নড়েনি। মনে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদেরকে ম্যানেজ করেই বালির ব্যবসা চলে আসছে।