ফরিদগঞ্জে শিক্ষক পরিবারের পৈতৃক বসতবাড়ি দখলের পাঁয়তারা
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ষোলদানা গ্রামের একটি শিক্ষক পরিবারের পৈতৃক ও খরিদকৃত বসতবাড়ি দখলের পাঁয়তারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারটি হলো ওই গ্রামের সেকান্দর বাড়ির মরহুম হাবীবুল্লাহ মাস্টার ও সেকান্দর আমিনুল হক মাস্টারের পরিবার। এ বিষয়ে মরহুম আমিনুল হক মাস্টারের ছোট ছেলে হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোর্শেদ আলম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার নং ডিআর ১৪৯১, তাং ২৩/২/২০১৯।
এতে উল্লেখ করা হয়, সেকান্দর আমিনুল হক মাস্টারের সন্তানেরা পৈতৃক ও খরিদসূত্রে ৩০৯নং ষোলদানা মৌজার সিএস ২৫৩, এসএ ২১১ বিএস ১২২৪নং খতিয়ানভুক্ত ২০ শতক সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছেন। সেকান্দর আমিনুল হক মাস্টারের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে খন্দকার মেজবাউল আলম মূলপাড়া কলেজের অধ্যাপক এবং মোঃ মোর্শেদ আলম বহরিয়া নূরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বাড়ির অন্যরা বিদেশে রয়েছেন। আর এ সুযোগে স্থানীয় প্রতিবেশী ফরিদ মিয়া, নাজির আলী, সোহেল রানা, রফিক উল্যাহ ও রুহুল আমিন গং জাল দলিল করে উল্লেখিত শিক্ষক পরিবারের বসতবাড়ি ও ফলফলাদি বিশিষ্ট বাড়ির সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতেও মামলা করা হয়েছে। যার ২৯/১৫। গত ক’দিন ধরে উল্লেখিতরা শিক্ষক পরিবারটির বাড়ির গাছ কেটে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার পাঁয়তারা করছে। এর প্রতিবাদ করলে তারা নিরীহ শিক্ষক পরিবারটিকে নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
বিষয়টি তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শফিকুর রহমানকে অবহিত করে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরেও ওই শিক্ষক পরিবারটি কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার চেয়েছেন।