• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জের অসহায় প্রতিবন্ধীদের দুর্ভোগ পুঁজি করে অর্থ আদায়

প্রকাশ:  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অসহায় প্রতিবন্ধীদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের মহতী উদ্যোগ হিসেবে প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিনামূল্যে ৫৭টি হুইল চেয়ারসহ বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। এসব উপকরণ বিতরণকে কেন্দ্র করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তা নিয়ে এলাকায় ও উক্ত অফিসে দু পক্ষের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
অর্থ আদায়ের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর সেই অর্থ ফেরৎ দেয়ার উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রতিবন্ধী বিষয়ক ফরিদগঞ্জের কর্মকর্তা লোকমান হেকিম। তবে এটি যাতে পত্রিকায় না প্রকাশ করা হয় সেজন্যে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ১৫জন শিশু প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক প্রতিবন্ধী ৪২ জনের মাঝে ৫৭টি হুইল চেয়ারসহ মোট ১শ’ ২২টি সহায়ক উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফরিদগঞ্জের স্থানীয় অফিস গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে ফরিদগঞ্জের অসহায় প্রতিবন্ধীদের জন্যে পাঠানো এসব উপকরণ সরকারিভাবে বুঝে পায়। তবে তালিকায় থাকা প্রতিবন্ধীদের আরো ৯টি ট্রাই সাইকেল পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে উক্ত উপকরণ বিতরণের জন্যে বিভিন্ন প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে আবেদন নেয়া শুরু হয়। আবেদন এন্ট্রি বাবদ প্রথমে জনপ্রতি ৫০-১০০ টাকা থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নেয়া শুরু হয়। প্রতিবন্ধী বিষয়ক ফরিদগঞ্জ অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লোকমান হেকিমের মৌখিক নির্দেশে ওই টাকা আদায়ের বিষয়টি এক পর্যায়ে ফাঁস হয়ে যায়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে প্রতিবন্ধীদের খবর দিয়ে অফিসে এনে টাকা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
অর্থ আদায়ের বিরুদ্ধে অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাড়া সবাই বিরোধিতা করলেও বস্ বলে কথা, সেজন্যে কেউই বিষয়টি প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছে না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত অফিসের ক’জন জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা লোকমান হেকিমের মৌখিক নির্দেশে আমরা প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে টাকা নিয়ে পুনরায় আবার তা ফিরিয়ে দেয়ার কাজটি করেছি।
 লোকমান হেকিম প্রতিবন্ধীদের মাঝে উপকরণ দেয়ার নামে আবেদন জমা দেয়ার সময় অল্প কিছু টাকা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওইসব উপকরণ বিতরণের আনুষ্ঠানিকতার জন্যে কিছু খরচ আছে। এই অফিসে দুই পক্ষের আভন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে গোপন এ বিষয়টি ফাঁস হয়েছে। তবে প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে আদায়কৃত টাকা ফেরৎ দেয়া হচ্ছে।