• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জের ইসলামপুরে ডাকাতি ॥ নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

প্রকাশ:  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 ফরিদগঞ্জের বালিথুবা ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল বাড়ির গৃহকর্তার হাত-পা বেঁধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ওই গ্রামের শহিদউল্যাহ ফরাজি বাড়িতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শহিদউল্যাহ ফরাজি (৬০) জানান, বাড়িতে তিনি এবং তার অসুস্থ স্ত্রী থাকেন। আর বাকি ছেলে-সন্তানরা বিদেশে চাকুরি এবং ঢাকায় পড়ালেখা করছেন। তার শ্যালক সৌদিআরব থেকে তার একাউন্টে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। তিনি অগ্রণী ব্যাংক চান্দ্রা বাজার শাখা থেকে বৃহস্পতিবার টাকাগুলো উত্তোলন করে ঘরে রেখেছিলেন। এই টাকাসহ মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় ডাকাতদল। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার সময় তিনি প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ গোয়ালঘর থেকে গরুর ডাক ও কিছু একটা আওয়াজ পেয়ে বাইরে যান। বাইরে গিয়ে গোয়ালঘরের লাইট জ্বালাতে চাইলে দেখেন সেটি জ্বলছে না। তিনি ধারণা করেন লাইট নষ্ট হয়ে গেছে। এ সুযোগেই ডাকাত দল ঘরের ভেতরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। পরে তিনি ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
তিনি জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হাফপ্যান্ট পরিহিত তিন যুবক তার মুখ চেপে ধরে নিজের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। এ সময় তার অসুস্থ স্ত্রী চোখ মেলে তাকালে বটি দা দিয়ে তাকে খুন করে ফেলার ভয় দেখানো হয়। এরপর ডাকাত দল ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র এলোমেলো করে আলমারিতে রাখা নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং তিন ভরি ওজনের ৩ জোড়া কানের দুল, ২টি রুলি ও ৩টি স্বর্ণের নাকফুল নিয়ে যায়। ডাকাতদল চলে গেলে তার চিৎকারে পাশের ঘর থেকে ছোট ভাই জুলফিকার এসে তার হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেয়। ততোক্ষণে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত শহিদউল্যাহ ফরাজির ছোট ছেলে মোর্শেদ জানান, আমি ঢাকায় লেখাপড়া করি। আমার বড় ভাই বিদেশে থাকেন। বাড়িতে শুধুমাত্র বাবা আর অসুস্থ মা থাকেন। ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে সকালে আমি বাড়ি এসেছি।  সে আরও জানায়, ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বার এবং চেয়ারম্যানকে জানানো হবে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, এর দুই মাস আগেও ওই গ্রামের ধোপা বাড়ি, কাজী বাড়িসহ একাধিক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এক রাতে ৩টি ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।