• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব উত্তরে মাদক ব্যবসায়ী ও সমবায় সমিতির অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশ:  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মাদক স¤্রাট রতনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে ও দুর্গাপুর আনন্দ বাজারস্থ আলোর সন্ধানে বহুমুখী সমবায় সমিতি এবং জনকল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ-এর টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকার সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর বেড়িবাঁধ সড়কে এ মানববন্ধনে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
    মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমনের ছোট ভাই রতন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। পুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেফতারও করেছে। এসব বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দেয়া নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে কবির হোসেন ও তার মাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন আহতের পরিবার ও বিক্ষোভকারীরা।
    বিক্ষোভকারীরা আরো বলেন, আনন্দবাজারে জনকল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ ও আলোর সন্ধানে বহুমুখী সমবায় সমিতিতে গ্রাহকের প্রায় একশ’ কোটি টাকা জমা রাখা ছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকার কিছু লোক ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা ওই টাকা ফিরিয়ে এনে গ্রাহকদেরকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুলের প্রতি দাবি জানাই।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন দেওয়ান, লুৎফর রহমানের ছেলে বোরহান উদ্দিন, আদম আলীর ছেলে খোরশেদ আলম, আদম আলীর ছেলে খোরশেদ আলী, নাঈম প্রমুখ।
    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন দেওয়ানসহ স্থানীয়রা বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ইমন সরকার ও দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আবুল খায়ের দুটি সমিতির প্রায় একশ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা এই টাকা ফেরৎ এনে গ্রাহকদেরকে বুঝিয়ে দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
    উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত হন কবির। এ ঘটনায় বণিক্য কান্দি গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে বোরহান উদ্দিন (৩৫) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৬। মামলায় বণিক্য কান্দি গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রতন সরকার (৩২), আলমাছ সরকারের ছেলে সুজন সরকার (৩৫), সোহেল (৩০), আলমগীর সরকার (৪৫), মনির সরকারের ছেলে মহন সরকার (৩৩), জাহাঙ্গীর সরকারের স্ত্রী নুরুন্নাহার (৫৮), আঃ রশিদের ছেলে সাইফুল ইসলম (২৬), আবু তাহেরের ছেলে রাসেল (২৭)সহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামী করা হয়।

 

সর্বাধিক পঠিত