• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মায়ের নাম ভুল, পরীক্ষা দিতে না পারায় আত্মহত্যার চেষ্টা!

প্রকাশ:  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 প্রবেশপত্রসহ সকল কাগজপত্রে মায়ের নাম ভুল হওয়ার কারণে পরীক্ষার প্রবেশপত্র আসেনি। তাই দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি রুনা আক্তার নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। সহপাঠীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেখে রাগ, ক্ষোভ ও অভিমানে সে বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় সে প্রাণে রক্ষা পায়।
গতকাল ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রুনা মোল্লা বাড়ির নূরু মোল্লার মেয়ে। তার মায়ের নাম পারভীন বেগম। রুনা আক্তার ওই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী। গতকাল ছিলো তার পরীক্ষায় প্রথমদিন।
রুনার পিতা নূরু মোল্লা জানান, মাদ্রাসার অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আসলেও রুনার প্রবেশপত্র না আসায় সে পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ জন্যে ক্ষোভ ও অভিমান করে সে পরিবারের লোকজনের অগোচরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ খবর জানতে পেরে মাদ্রাসা সুপার পালিয়ে যায়।
মাদ্রাসার অফিস সহকারী আব্দুল খালেক হাওলাদার জানান, পিতার নাম ঠিক থাকলেও রুনার মায়ের নাম ভুল দেয়ার কারণে তার প্রবেশপত্র দিনাজপুর জেলায় চলে গেছে। আর এ ভুলটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ওই মাদ্রাসার সুপার (প্রধান) আহসান উল্যার কাছে প্রবেশপত্র না আসার কারণ জানার জন্যে মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীর মামা ওমর ফারুক বলেন, প্রতিষ্ঠানের সুপার আহসান উল্যাহর দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার ভাগ্নে পরীক্ষা দিতে পারেনি এবং একটি বছর পিছিয়ে পড়লো। পরীক্ষার পূর্বে তার সকল বকেয়া বাবদ ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রুনার পিতা নূরু মোল্লা চাঁদপুর মডেল থানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা জানান, শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারার কারণ তদন্ত করে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।