• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ:  ২৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির কার্যক্রমে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন সমিতির ক’জন নেতৃবৃন্দ। সমিতির ঋণ বিতরণে অনিয়ম, ক্যাশিয়ার কর্তৃক ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ, বার্ষিক সাধারণ সভায় অডিট ছাড়াই হিসাব উত্থাপনসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এছাড়া বর্তমান কমিটির মেয়াদ একবছর আগে শেষ হলেও নতুন নির্বাচনের কোনো খবর নেই।
    চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির ক’জন নেতৃবৃন্দ জানান, সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় ক্যাশিয়ারের অনুপস্থিতিতে এবং অডিট ছাড়াই হিসাব উপস্থাপন করা হয়েছে। কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়মের মধ্য দিয়ে ঋণ দেয়া হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব নানা অনিয়মের অভিযোগ সদস্যরা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে সদস্যদের বাধা ও তোপের মুখে পড়ে পুনরায় সাধারণ সভা আহ্বান করার কথা বলে সভা মুলতবি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে গত বছরের ১০ মে কোনো সাধারণ সভা ছাড়াই সমিতির গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে অনেকটা গোপনে জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও তাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিকে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কার্যকরী কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়।
    সমিতির সদস্যদের অভিযোগ, নির্বাচন ছাড়া গোপনে এধরনের আহ্বায়ক কমিটি এবং কার্যকরী কমিটি গঠনের পাঁয়তারা সমিতির গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তারা এটি করতে পারেন না।
    নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, ২০১৬ সালে রনজিত রায়কে আহ্বায়ক করে যে অডিট কমিটি গঠন করা হয়, সে কমিটি অনুসন্ধান করে নানা অনিয়ম পাওয়ায় তারা ওই প্রতিবেদন অনুমোদন করেননি।
    অডিট কমিটির সদস্য জাকির হোসেন জানান, আমরা অডিট করতে গিয়ে দেখেছি ঋণ প্রদানের যে নীতিমালা তা অনুসরন ছাড়াই ঋণ প্রদান করা হয়েছে। একই মালিকের দুই দোকানের সঞ্চয়ের বিপরীতে তিনটি দোকানের নামে ঋণ দেয়া হয়েছে। পূরবী মার্কেটের দোতলায় মধুসন্ধ্যা দোকানের মালিককে গ্যারেন্টার ছাড়াই ঋণ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী উধাও। তাহলে এ টাকা কে দেবে? আর্থিক ক্ষেত্রে এ ধরনের নানা অনিয়ম পাওয়া যায়।
    সমিতির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম লিমন বলেন, কোনো মিটিং ছাড়াই নিয়ম-নীতি না মেয়ে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
    সমিতির বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যরা কয়েকবার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে মিটিং দেয়া জন্যে অনুরোধ জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। এই এক বছর ধরে কীভাবে এবং কোন্ বিধির বলে তারা কার্যক্রম চালিয়ে গেল- এটি সমিতির সকল সদস্যই জবাব চায়।
    এসব বিষয়ে চাঁদপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবুল বলেন, গঠনতন্ত্রের ১৬নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বলে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দু’ বছর বেশি থাকার সুযোগ থাকলেও আমি সহসাই এটি ছেড়ে দেবো। এই কমিটি ধরে রাখার আমর কোনো শখ নেই। ফেব্রুয়ারি মাসেই সাধারণ সভা হবে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণ সভা যে সিদ্ধান্ত নেয় সে মতেই কাজ হবে।
    ঋণসহ আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক না। প্রয়োজনে খাতা-পত্র দেখতে পারেন।
    যদিও সদস্যরা বলছেন, গত বছরের ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মুলতবি ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সদস্যরা বলছেন, তিনি এখন যে কথা বলছেন- তা গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।