• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮০ রাউন্ড গুলি ॥ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ॥ পুরুষশূন্য গ্রাম

মতলব উত্তরের বাহাদুরপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু পক্ষের সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ আহত ২০

প্রকাশ:  ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৮০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। সংঘর্ষকালে পুলিশের এসআই ও এএসআইসহ ৪ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
    জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে মোহনপুর ইউপি সদস্য বাবুল মিয়ার মামাতো ভাই আলীর বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে রাজ্জাক প্রধান গংয়ের সাথে বাবুল মেম্বারের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে কাইল্লা, নূরু, কালু ও বাবলু গং পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠিসোটা ও শাবল নিয়ে বাবুল মেম্বারের সমর্থক বারেক বেপারী, আহাম্মদ হোসেন, জালাল বেপারী, দুলাল বেপারী, শহিদ, মোহাম্মদ হোসেন ও আক্তার হোসেনের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
    খবর পেয়ে বাবুল মেম্বারের লোকজনও পাল্টা আক্রমণ করলে জাহাঙ্গীর বেপারী, দুলাল বেপারী, শুক্কুর আলী, আক্তার হোসেন, আনোয়ার ও মফিজুল ইসলামসহ ১৬ জন আহত হয়। আহতদের ছেংগারচর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
    সংঘর্ষের খবর পেয়ে মতলব উত্তর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই গোলাম মোস্তফা, এসআই জসিম-১ ও এসআই জসিম-২-এর নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে উভয়পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করার একপর্যায়ে রাজ্জাক প্রধানের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এসআই জসিম-১, এএসআই আফজাল ও কনস্টেবল জহিরসহ ৪ পুলিশ আহত হন। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে ৮০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
    ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, আমরা জুমার নামাজে ছিলাম। এমতাবস্থায় রাজ্জাক প্রধানের নেতৃত্বে তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১০/১২টি বসতঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তারা ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ লুটপাট করাসহ নারী-পুরুষের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
    এ ব্যাপারে রাজ্জাক প্রধানের সাথে কথা বলতে মুঠোফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
    সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) রাজন কুমার দাস ও মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।

 

সর্বাধিক পঠিত