• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মেয়েদের স্কুল-কলেজের সামনে বখাটে ও ইভটিজারদের উপদ্রব

প্রকাশ:  ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা স্কুল ও কলেজের সামনে বখাটে এবং ভদ্রবেশী ইভটিজারদের উপদ্রব এখন বেড়ে গেছে। এসব বখাটে এবং ইভটিজাররা স্কুল ও কলেজের সামনে, পথে এবং আশপাশে দলবেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে। এরা ছাত্রীদের উক্ত্যক্ত করে এবং প্রেম নিবেদন করে থাকে। এতে ন¤্রভদ্র মেয়েরা বিব্রতবোধ করে এবং অনেকসময় নিরাপত্তাহীনতাবোধ করে। এমন অভিযোগ বেশকিছু অভিভাবক করেছেন এবং এই প্রতিবেদক ওইসব স্কুল-কলেজের সামনে গিয়ে এসব পরিস্থিতিও দেখেছেন।
    চাঁদপুর জেলা শহরের মেয়েদের স্বতন্ত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাতেগোণা কয়েকটি। এগুলো হলো : মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আল-আমিন একাডেমি ছাত্রী শাখা, লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লেডী প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পীর মহসিন উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ। এছাড়া আরো কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোতে ছেলে এবং মেয়ে একত্রে পড়াশোনা করে। এসব স্কুল ও কলেজের সামনে এবং আশপাশে বেশ কিছু বখাটে তরুণ প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকে অথবা কোনো দোকানে বা খালি জায়গায় বসে থাকে।
    স্কুলের ক্লাস শুরু হওয়ার আগে এবং ক্লাস ছুটির পর এসব বখাটের বিচরণ দেখা যায় বেশি। এদের অবস্থান যেসব জায়গায় বেশি দেখা যায় সে জায়গাগুলো হচ্ছেÑসরকারি মহিলা কলেজের সামনেসহ সে এলাকার আশপাশে, হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে ক্যাডেট কোর ভবনের সামনে, স্কুলের দক্ষিণ পাশে ভবন লাগোয়া অভিভাবক ছাউনি, মাতৃপীঠ স্কুলের পূর্ব পাশে রেডচিলির সামনে, স্কুলের পশ্চিম পাশের গলিতে এবং স্কুলের আশপাশে পথে, লেডী দেহলভী স্কুলের সামনে এবং স্কুলের পেছনে রেল লাইনের উপর এবং লেডী প্রতিমা স্কুলের আশপাশ। এছাড়া ওইসব স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বখাটেরা বিচরণ করে থাকে। এরা বিশেষ করে স্কুলগামী ছাত্রীদের নানাভাবে উক্ত্যক্ত করে এবং খুব খারাপভাবে প্রেম নিবেদন করে। অনেক অভিভাবক এসব দেখেও সহ্য করে মেয়েকে সাথে করে স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। এসব বখাটের সাথে ভদ্রবেশী ইভটিজাররাও থাকে। তাদের দেখলে ভদ্র মনে হয়, কিন্তু এই ভদ্রবেশীর আড়ালে তারা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে থাকে। কোনো সচেতন এবং প্রতিবাদী মানুষ বখাটে ও ইভটিজারদের প্রতিবাদ করলে অথবা বাধা দিলে উল্টো প্রতিবাদকারী রোষানলে পড়েন। এমনকি ওই ভদ্রবেশী বখাটের পক্ষ নিয়ে তার অভিভাবকরাও নির্লজ্জভাবে প্রতিবাদকারী সচেতন মানুষগুলোর ওপর চড়াও হয়, দেখে নেয়ার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা অপবাদ দেয়। এসব ভদ্রবেশী ইভটিজার এবং বখাটেদের উপদ্রব থেকে স্কুলগামী মেয়েদের রক্ষা করতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন নিরীহ অভিভাবকরা।