ফরিদগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসতবাড়ি
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর এবং লুটপাট করে প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ ওঠেছে। গত শুক্রবার উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাটওয়ারী বাজারের দক্ষিণ প্রান্তে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল এলোমেলোভাবে রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে দোকানের ভাড়াটিয়া শাহ আলম বলেন, সকালে কিছু লোক এসে তার দোকানের মালামাল সরিয়ে নিতে বলার পাশপাশি মালামাল দোকান থেকে ফেলে দেয়। তারা দোকানের বেড়া খুলে ফেলে। পরে আমি নিজেই অবশিষ্ট মালামালগুলো সরিয়ে ফেলি।
ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমির মালিক মহসিন তপাদার বলেন, আমার বাবা মৃত আব্দুল খালেক তপাদার ১৯৮৮ সালে ৪২ শতাংশ জমি গাউছুল আজম চৌধুরীর কাছ থেকে ক্রয় করেন। সে সূত্রে আমরা এই ভূমির মালিক। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎ করেই আনোয়ার ও তার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের দোকানপাট ও বসতঘরে হামলা করে। এতে আমাদের প্রায় দশ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট হয়। ঘটনা শুনে আমি বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। পরে প্রাণ রক্ষার জন্যে পুলিশের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি দেখেছে। তিনি জানান, গত কয়েক বছর আগে আমাদের জমি ক্রয় সূত্রে দাবী করে। ফলে আমরা তাদের দলিল বাতিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও তারা ওই জমি দখল করতে আসলে আরেকটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ওই জমির নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটায় প্রতিপক্ষ।
এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা গাউছল আজমের আরেক ভাই এসমে আজম চৌধুরী কাছ থেকে ২০১৭ সালে দুই দলিলে সাড়ে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। এসমে আজম চৌধুরীরা ৪ বোন ২ ভাই রয়েছে। গাউছল আজম চৌধুরী কিভাবে ভাই, বোন রেখে একক ভাবে এই জমি বিক্রয় করেন? হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে তিনি জানান, আমি জমি ক্রয় করেছি। আমাকে জমির দখল দেওয়ার জন্যে এসমে আজম চৌধুরী নিজে উপস্থিত ছিলেন। হামলা হয়েছে কিনা আমি জানি না।