মতলবে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩ ॥ আদালতে মামলা
মতলব দক্ষিণে প্রতিপক্ষের হামলায় দাদী-নাতিসহ তিনজন আহত হয়েছে এবং বসতঘরের আসবাবপত্র (ফার্নিচার) ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া মরহুম হাজী কেরামত আলী প্রধানিয়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত জুনাব আলী প্রধানের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে একই বাড়ির মৃত কালু প্রধানের ছেলে মিজানুর রহমানের সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর দু’পক্ষের মাঝে মারামারি হয়। মিজানুর রহমান তার দলবল নিয়ে নজরুল ইসলামের বসতঘরে হামলা করে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে হামলায় নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়াছিন এবং ফরহাদ ও নজরুলের মা সুতারা বেগম (৭০) গুরুতর আহত হন। হামলায় সুতারা বেগমের ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান। সুতারা বেগম বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং সিআর/০৩/২০১৯।
নজরুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক কারণে ২৬ ডিসেম্বর মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ঝটিকা অভিযানে আমাকে আটক করে একদিন পরে চাঁদপুর কোর্টে প্রেরণ করেন। পরে ২৮ ডিসেম্বর আমার দুই ছেলে কলেজ ছাত্র ইয়াছিন (১৯) ও ফরহাদ (১৮) কে মিজানুর রহমান, তার ছেলে মোঃ হাবিব, শাহপরাণ, শামীম, স্ত্রী হাওয়া বেগম এবং বোরহান উদ্দিনসহ দলবল নিয়ে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এতে আহত হন তার মা সুতারা বেগম, ছেলে ইয়াছিন প্রধান ও ফরহাদ হোসেন। বর্তমানে আমার মা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অভিযুক্ত মিজানুর রহমান হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যান। মিজানুর রহমান জানান, নজরুল ইসলাম রাজনৈতিক কারণে আমার ফ্যামিলিকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করেছে।