• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পুরাণবাজরে চাঁদপুর মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান

মাদকের চেইনের মধ্যে যাকে পাবো, তাকে ছাড় দেয়া হবে না : ওসি মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন

প্রকাশ:  ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর মডেল থানা ও ডিবি পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা করা হয় চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায়।
এদিন জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণায় মাঠে নামে পুলিশের একাধিক টীম। চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ অফিসার ও বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে প্রথমে অভিযান শুরু হয় ম্যারকাটিজ রোড থেকে। ওসমানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার মধ্য শ্রীরামদীর বৌ-বাজার, আইল্লার মসজিদ, টাওয়ার এলাকা, টিজি রোড, সরকারি পুকুরপাড়, কবরস্থান, রিফিউজি কলোনী, নিতাইগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় গিয়ে শেষ হয় এ অভিযান। এ সময় মাদক মামলার আসামী সুমনকে বৌ বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। মাদক সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে বিল্লালসহ আরো এক তরুণকে আটক করে পুলিশ। সবশেষে হরিসভা, মধ্য শ্রীরামদী চৌরাস্তায় মেয়র সড়কে সচেতনতামূলক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের ডাইরেক্ট নির্দেশ-সেই টেকনাফ থেকে মাদকের যতরকম হাত বদল হয় এই চেইনের মধ্যে যাকে পাওয়া যাবে, সে যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের ব্যাপারে সরকার ও রাষ্ট্র জিরু টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সুতরাং আমরা মাদকের সাথে সম্পৃক্তদের সর্বোচ্চ সতর্ক করছি। ছেলে, স্বামী অথবা মেয়ে হোক, তাকে মাদক থেকে বিরত রাখতে হবে। কোনো ছেলে যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তার বাবাকে, মাকে, ভাইকে এবং বোনকে আইনের আওতায় নিয়ে যাবো। আমরা চাই আপনাদের পরিবারের কোনো সন্তান, আত্মীয়-স্বজন এবং এলাকাবাসী যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ওসি বলেন, সন্ধ্যার পর ছেলে সন্তানদের পড়ার টেবিলে বসাতে হবে। তারা যেন এখানে-সেখানে আড্ডা না দেয় এবং গুপচিতে না থাকে। প্রত্যেক অভিভাবককে নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ এলাকার অনেকে চুরি ও মাদকের সাথে জড়িত। চোরাই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে। এসব বন্ধ করা না হলে চুরি, মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংয়ের  সাথে জড়িতদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। থানায় কেউ তদবির করতে যাবেন না।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মনির আহমেদ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুন-অর-রশিদ, ইন্সেপেক্টর আব্দুর রব, ডিবি এসআই মহিউদ্দিন, আল-আমিন, মশিউর রহমান, পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনসপেক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, এসআই জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

 

সর্বাধিক পঠিত