• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

টক অব দ্যা ডিস্ট্রিক্ট

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০৯ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

স্ত্রী আর দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করে খুনি মাইনুদ্দিন নিজেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ায় বিষাদ, দুঃখ, হতাশা, ক্ষোভ যাই হোক না কেনো, লোমহর্ষক এ ঘটনায় সকলে স্তম্ভিত হয়ে যায়। এটি টক অব দ্যা ডিস্ট্রিক্টে পরিণত হয়। যারাই মেরে ফেলা ওই শিশুদের ছবি ফেসবুকে, সংবাদপত্রে কিংবা স্বচক্ষে লাশ দেখেছে তারাই ধিক্কার দিয়েছে সেই কলঙ্কিত যুবক মাইনুদ্দিনকে।


বিভিন্ন চায়ের দোকান, হোটেল এবং যেখানেই একাধিকজন একসাথ হয়েছে, সেখানেই একটাই আলাপ-'কীভাবে এই জানোয়ার (মাইনুদ্দিন) তিনটা মানুষকে মারতে পারলো? ফেরেস্তার মতো নিষ্পাপ দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে কীভাবে নিজেই ভিডিও ফুটেজ তৈরি করলো? মেয়েটি কিংবা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে একবারের জন্যেও কি মায়া হলো না তার (মাইনুদ্দিনের)? যার সাথে দীর্ঘদিন ঘর করলো সেই স্ত্রীকে হত্যা করলো কীভাবে? ৩টি মানুষ মারার আগে কি একবারও বুক কাঁপলো না এই পাষ-ের? কী এমন অপমানবোধ করলো সে? তিনটি মানুষ মারার পরিকল্পনা নিয়ে নিজেকে নিষ্পাপ দাবি করলো কোন্ বিবেকে? শ্বশুর বাড়িতে যা-ই ঘটুক, দেশে তো আইন আছে, সমাজ আছে, তার নিজের ভাইয়েরা ছিলো, কিংবা বন্ধু-বান্ধব ছিলো, কারো না কারো সাথে তো পরামর্শ করতে পারতো'। এমন সব নানা প্রশ্ন এখন সর্বত্র জুড়ে। বিশেষ করে ঘটনাস্থল দেবপুরে এখন এ মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে সারাক্ষণ চলছে নানা কথা। সকল বয়সী মানুষের মুখে শুধু একটাই কথা_কী হলো ঘটনাটি!!

সর্বাধিক পঠিত