দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আবারো রণক্ষেত্র বহরিয়া বাজার
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছলেমান মাঝি গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় আবারো রণক্ষেত্র হলো লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া বাজার। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দু’ ঘন্টার তুমুল সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৩ জনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি এবং গুরুতর আহত রশিদ গাজীকে (৫৫) ঢাকা রেফার করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। সংঘর্ষের সময় বাজারের একাধিক দোকানপাট, ছলেমান মাঝির বাড়ি ও স্থানীয় যুবলীগের অফিস ভাংচুর এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ বেপারীর বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা, পুরাণবাজার ফাঁড়ি ও ডিবি পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য বহরিয়া বাজারে উপস্থিত হয়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা ব্যবহার এবং একে অপরের উপর ব্যাপক ইট - পাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বহরিয়া বাজারের রাস্তার উপর মোটরসাইকেল নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বড় ছেলে শান্ত (১৬)-র সাথে পূর্ব শত্রুতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছলেমান মাঝির ছেলে সাগরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শান্ত সাগরকে থাপ্পর দেয়। এ ঘটনার জের ধরেই সেখানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাঁদপুর সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী জানান, পুলিশ সময়মতো পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।