রামগঞ্জ থেকে অপহৃত কিশোরীকে চাঁদপুরে উদ্ধার ॥ পর মায়ের কাছে হস্তান্তর
অপহৃত কিশোরীকে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার করার ৪দিন পর মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহীম খলিলসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা। অভিভাবক গরীব হওয়ায় কিশোরীকে নিতে আসা গাড়ি ভাড়াও ছিল না অভিভাবকদের। এ খবর শুনে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহিম খলিলের নির্দেশে থানার উপ-পরিদর্শক আওলাদ নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কিশোরীর মায়ের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠান।
সে টাকা পেয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে অপহৃত কিশোরী নাছিমা আক্তার (১৪)কে তার মা হালিমা বেগম নিতে আসেন এবং তার কাছে মেয়েকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। নাছিমা আক্তারকে গত ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের মহামায়া বাজার এলাকা থেকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ উদ্ধার করে। সে গত ১৫ দিন পূর্বে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকা থেকে অপহরণ হয় বলে পুলিশ জানান।
অপহৃতা কিশোরী নাছিমা জানায়, তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার পশ্চিম বিঘা গ্রামে। তার বাবা শাহআলম মারা যাবার পর মা হালিমার বিয়ে হয় একই গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেনের সাথে। কিশোরী নাছিমা মায়ের কাছেই থাকতো। ঘটনার দিন তার মা তাকে বাড়িতে একা রেখে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরই ফাঁকে কিশোরী বাড়ি থেকে একা বের হয়ে বাড়ির পাশের রাস্তায় যায়। সেখান থেকে এক দল যুবক তাকে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে চাঁদপুর নিয়ে আসে। পুলিশ ধারণা করছে, দীর্ঘদিন অপহরণকারীরা কিশোরীকে আটকিয়ে রাখে। পরে এক পর্যায়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের মহামায়া বাজার এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়। ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মডেল থানা পুলিশ ডিউটিতে গেলে মহামায়া বাজার এলাকায় কিশোরীকে কাঁদতে দেখে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার পরিবারের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে চাঁদপুর মডেল থানায় এসে তাদের মেয়েকে নেয়ার জন্য বলে। কিন্তু কিশোরীর পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় টাকার অভাবে গাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে না পারায় চাঁদপুরে আসতে কালক্ষেপণ করে। মায়ের কাছে যেতে না পেরে কিশোরী থানায় অঝোর ধারায় কাঁদতে কাঁদতে তার মাথা নিজেই মডেল থানার দেয়ালের সাথে আঘাত করে ফাটিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।