চাঁদপুর শহরে বসতঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
চাঁদপুর শহরের মমিনপাড়াস্থ সব্দার খাঁ বাড়িতে একটি পরিবারের বসতঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাহেরা বেগম জানান, তার স্বামী সব্দার খাঁ বাড়ির সিরাজ খানের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে সন্তানদের নিয়ে তিনি বসবাস করে আসছেন। এতিম এ পরিবারটির সম্পত্তিতে চোখ পড়ে প্রতিবেশি খাজা আহম্মদের। এ সম্পত্তি দখল করার জন্যে খাজা আহম্মেদ (পিতা-মৃত ইউনুছ খান) তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তিনি এ সম্পত্তি দখল করার জন্যে বিভিন্ন সময় ভুয়া খতিয়ান বানিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে আসছে। এ অবস্থায় তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা চায়। কিন্তু খাজা আহম্মেদ খান গং সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এ বিষয়ে সমাধান দিতে রাজি না হওয়ায় সিরাজ খানের পরিবার চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে খাজা আহম্মেদ গং এ সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে। বিষয়টি টের পেয়ে সিরাজ খানের স্ত্রী তাহেরা বেগম (৬০) সম্পত্তি রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। সকালে অভিযোগ দাখিলের পর বিকেল ৩টার দিকে খাজা আহম্মেদের নেতৃত্বে কিছু লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিরাজ খানের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তারা মৃত সিরাজ খানের স্ত্রী তাহেরা বেগম, মেয়ের জামাই জাকির হোসেন দোলন চৌধুরীসহ শিশু বাচ্চাদের উপরও হামলা করে।
ঘটনা চাঁদপুর মডেল থানাকে জানালে থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে এসআই বিপ্লব ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খাজা আহম্মেদ গং তখন ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আহত তাহেরা বেগম ও জাকির হোসেন দোলন চৌধুরীকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই বিপ্লবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এলাকাবাসী এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।