ফরিদগঞ্জে দুই শিশু-কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ফরিদগঞ্জের পল্লীতে এক কন্যা শিশু সুলতান আহম্মদ নামে এক লম্পটের লালসার শিকার হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া উপজেলার বড়গাঁও গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ষোলদানা গ্রামের উত্তর হাজী বাড়িতে এবং গত ৯ সেপ্টেম্বর রোববার উপজেলার বড়গাঁও গ্রামে এ পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কিশোরী নিজে বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায়  অভিযোগ দায়ের করে।
    ধর্ষণের শিকার শিশুটির ফুফু জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শিশুটি বাড়ির সামনে দাঁত ব্রাশ করতে গেলে একই বাড়ির সুলতান আহম্মদ (৫৫) শিশুটির মুখ চেপে ধরে তার বসতঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে তার মা দৌড়ে আসলে লম্পট সুলতান তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মা ও বাবা শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করেন। স্থানীয়রা জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী চক্র উঠেপড়ে লেগেছে।   
    এছাড়া উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বড়গাঁও গাজী বাড়ির দুদু গাজীর ছেলে চান্দু গাজী এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে কিশোরী নিজে বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায়  অভিযোগ করেছে।
    এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব কুমার দাস জানান, ধর্ষণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।