ব্যাংক কলোনীতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যসহ ৪জন আটক

 চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনীতে চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং টহল দলের সদস্য জিলানীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল মোস্তফা সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাট এলাকা থেকে ইসমাইল মিজির ছেলে কাদের মিজিকে আটক করে। পুলিশ জানায়, ঘটনার পরেই ডাকাতির সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে বিল্লাল সরকারকে আটক করা হয়। সেই সূত্র ধরে পুলিশ গত সোমবার কমিউনিটি পুলিশের সদস্য জিলানীকে ও জুয়েল আখন্দকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক কাদের মিজিকে আটক করা হয়।
    গত ২৭ আগস্ট সোমবার ভোর রাতে ব্যাংক কলোনীর প্রবীণ বাসিন্দা সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের বাসায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম। পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল মোস্তফা ঘটনার পরেই ডাকাতির সাথে জড়িত বিল্লাল সরকারকে আটক করে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ গত সোমবার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের টহল দলের সদস্য জিলানী ও জুয়েল আখন্দকে আটক করেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাট এলাকা থেকে কাদের মিজিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
    আটককৃতরা হলো, লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামের জালাল সরকারের ছেলে বিল্লাল সরকার (৩০), ব্যাংক কলোনীর মৃত মোকলেছ গাজীর ছেলে জিলানী (৪৫), জিটি রোডের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে জুয়েল আখন্দ (৩০) ও চক্ষু হাসপাতালের সম্মুখস্থ ইসমাইল মিজির ছেলে কাদের মিজি (২৮)।
    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল মোস্তফা জানান, সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের বাসায় ডাকাতির ঘটনায় সন্দেহজনক ৪ জন ডাকাত আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আটককৃত ডাকাতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে ৮ ডাকাত জড়িত ছিলো বলে তারা জানিয়েছে। বাকিদের গ্রেতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
    উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট সোমবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৭ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল মুখে গামছা পেঁচিয়ে সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খানের বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তারা তার স্ত্রী ও ছেলেসহ ৩ জনের হাত পা বেঁেধ রাখে। ডাকাতরা ঘরে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা, ৬টি মোবাইল সেট ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
    ঘটনার সময় মোহাম্মদ হোসেন খানের ছেলে ডাকাতদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা তাকে মারধর করে। পরে চাঁদপুর মডেল থানায় ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-৫৩, তারিখ ২৭/৮/২০১৮।