লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ
বিএনপি করার কারণে অনেককে বহরিয়া বাজারে আসতে দেয়া হচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেছে। সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সোয়া ২টার সময় ২০/৩০ জন লোক মধ্য শ্রীরামপুর গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরু ভূঁইয়ার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় নূরু ভূঁইয়া, শাহীন ভূঁইয়া ও আলী হোসেন ভূঁইয়ার ঘর কুপিয়ে ভাংচুর করে এবং আসবাবপত্র তছনছ করে।
একই রাতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুল ভূঁইয়ার বাড়িতেও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে বিএনপির সাঁটানো ব্যানারগুলো সব তছনছ করা হয়। সরজমিনে গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নূরু ভূঁইয়ার তিনটি বসতঘরে ভাংচুর ও কোপানোর চিহ্ন। মফিজ জমাদারের দোকানও কোপানো হয়েছে। হামলার ঘটনা দেখার জন্যে শত শত গ্রামবাসী ভিড় জমান সেখানে। নতুন আওয়ামী লীগ করেন এমন চিহ্নিত কিছু যুবক এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্যে এ হামলা করে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরু ভূঁইয়া জানান, আমরা বিএনপি করি এটাই আমাদের অপরাধ। তারা আওয়ামী লীগ করেন, তা জাহির করার জন্যে প্রশাসনের ভয়ভীতি দেখানো, মামলা-হামলা, ভাংচুরসহ নানাভাবে নির্যাতন চলছে আমাদের ওপর। বাড়িঘরে থাকতে পারছি না। বাজারে আসলেও নানা অজুহাতে দলের প্রভাব দেখায়। ঘটনার রাতে হারুন বেপারীর ছেলে ও নান্নু হাওলাদারের ভাগিনা পিস্তল হোসেন তার দলবল নিয়ে এ হামলা চালায়। পিস্তল হোসেন এ সময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এ সময় ভয়ে বাড়ির কোনো লোক ঘরের বাইরে যায়নি। হোসেন বেপারীর সহযোগী হিসাম, রুবেল, ফরিদ, ফয়সাল, নাজমুলসহ প্রায় ২০-৩০ জন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা করে বলে নূরু ভূঁইয়া জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, এর আগে গত ৮ আগস্ট তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে দুটি মূল্যবান স্কেল ও ভাঙ্গারি মালামাল লুট করা হয়। আমরা চাই, জেলার নেতাদের মতো রাজনৈতিক সহাবস্থান। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই এক ব্যক্তির স্বার্থে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নকে অশান্ত করা হচ্ছে।