• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

রাজউক ভবনে ‘ফেনসিডিল’ ব্যবসা!

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৫৬ | আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৫০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
প্রিন্ট

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, যাকে সংক্ষেপে রাজউক বলা হয়। রাজধানীর রাজা এই রাজউক। বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে ব্যস্ত সরকারি সংস্থা এইটি। আর এই ভবনেই চলে ফেনসিডিল ব্যবসা। শুনতেই অবাক লাগে!

অবাক হওয়ার মতো ঘটনা হলেও বাস্তবে এটাই সঠিক। রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ এ ব্যবসা করেন না। ফেনসিডিল ব্যবসায়ী বাইরের। এখানে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ও দামী খদ্দের রয়েছেন। আর এদের চাহিদা পূরণের জন্যই ফেনসিডিল ব্যবসায়ীর আগমন এখানে। রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রায় সবাই জানেন, রাজউক ভবনে ফেনসিডিল ক্রয়-বিক্রয়ের খবর। 

কারণ, খোদ রাজউক ভবনে অফিসের চেয়ারে বসেই কেউ কেউ ফেনিসিডিল খান। চোখের সামনে এমন পরিবেশ দেখলেও কারো কিছু বলার সাহস নেই। কারণ, এরা সবাই মন্ত্রীর লোক।

সম্প্রতি খোদ রাজউক চেয়ারম্যানের রুমের সামনেই এক ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ৭ বোতল ফেনসিডিলসহ হাতেনাতে ধরা হয়েছিল। চেয়ারম্যানের রুমের সামনে টয়লেটের ভিতর ওই ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরা হয়। চেয়ারম্যানও ওই সময়ে রুমে ছিলেন। কিন্তু, আটক হওয়া ওই ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে কেউ কেউ পুলিশে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুধু ফেনসিডিল ক্রয়-বিক্রয়ই নয়, রাজউক ভবনে বসে হেন কোনও অপকর্ম নেই যা এরা করছেন না। প্লটের কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি, ফাইলের কাগজপত্র সরিয়ে ফেলা, একজনের প্লট আরেকজনকে দেয়া, ভুয়া লোককে প্লটের মালিক দাঁড় করিয়ে প্লট বিক্রি করে দেয়া প্রভৃতি প্রত্যেকটি অপকর্মের সঙ্গে এরা জড়িত। এদের কারণে রাজউকের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে চরমভাবে। মন্ত্রীর লোক, তাই কোনও প্রশাসনিক বা আইনগত ব্যবস্থা এদের বিরদ্ধে নেয়া যায় না।

জানা গেছে, ইতিপূর্বে প্লট জাল-জালিয়াতির দায়ে এই চক্রটি একাধিকবার হাতেনাতে ধরাও পড়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলাও হয়েছে। কিন্তু তারপরও এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। অবশেষে দেখা গেছে, জাল-জালিয়াতির দায় বাইরের লোকদের উপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এ কারণেই এই দুর্নীতিবাজ ও জালিয়াত চক্রটির দৌরাত্ম দিন দিনই বেড়ে চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। 

সূত্র: শীর্ষ কাগজ

সর্বাধিক পঠিত