• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরগামী লঞ্চে ডাকাতির ঘটনায় শরীয়তপুরে মামলা

স্বজনদের দাবি আটককৃত ব্যক্তি নির্দোষ

প্রকাশ:  ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

শরীয়তপুর জেলার নৌ-সীমানায় সংঘটিত নড়িয়া-সুরেশ্বর থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী এমএল শাহ আলী-৪ লঞ্চে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় সখিপুর থানায় মামলা হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা নৌ-পুলিশের আওতাধীন ফেরীঘাট নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আল মামুন বাদী হয়ে গতকাল ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ডাকাতির এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আল মামুন জানান, মামলায় ঘটনাস্থল থেকে আটক বিল্লাল হোসেনকে ১নং আসামী করে অজ্ঞাত ১৯/২০ জনকে আসামী করে ডাকাতির এই মামলাটি রুজু করা হয়।

তিনি আরো জানান, আটক আসামি বিল্লালকে শরীয়তপুর কোর্টে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। এদিকে আটক বিল্লালের খোঁজ পেতে স্বজনরা চাঁদপুর লঞ্চঘাট নৌ-থানায় এসেছিল। বিল্লালের খবর জানতে এসে তারা দাবি করেন বিল্লাল শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারের অধীন কর্মরত ছিলেন। সে সহজ-সরল ও নিরীহ মানুষ। সে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত না। বরং ওই লঞ্চে যারা ডাকাতি করেছিল তাদের দ্বারা সেও ডাকাতদের কবলে পড়েন এবং তাকে আটক রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ডাকাতির ঘটনার সময় বিল্লাল স্পিডবোটে বসা ছিল। ডাকাতরা যখন লঞ্চে উঠে ডাকাতি করছিলো। এ সময় বাঁচার জন্যে সে কৌশলে স্পিডবোট থেকে লঞ্চে উঠে যায়। তখনই যাত্রীরা তাকে ডাকাতদের সদস্য মনে করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।

উল্লেখ্য, ২১ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় শরীয়তপুর জেলার সুরেশ্বর থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা এমএল শাহ আলী-৪ নামক লঞ্চটিতে একদল ডাকাত স্পীডবোট নিয়ে ডাকাতি করে। এ সময় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায়। যাত্রীদের সহায়তায় তখন বিল্লাল নামে একজনকে ধরে নৌ পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্য ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে নৌ-পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সর্বাধিক পঠিত