• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে চার সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগে মামলা

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জে বাড়িওয়ালার স্ত্রী কর্তৃক তার ভাড়াটিয়া রেহানা পারভীন (২৮) নামে চার সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রেহানার পেটে বাড়িওয়ালার স্ত্রী খুকি বেগম সজোরে লাথি মারার কারণে গুরুতর আহত হয়ে গত সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ অক্টোবর সোমবার সকালে ঢাকার হলি ফ্যামেলী হাসপাতালে রেহানার মৃত্যু হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় রেহানার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় এবং মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের মা পানোয়ারা বেগম পানু বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামী করা হয় বাড়ির মালিক রফিক পাটওয়ারী ও তার স্ত্রী খুকি বেগমকে। তবে পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনাটি গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কাছিয়াড়া গ্রামের পাটওয়ারী বাড়িতে ঘটে।
নিহত রেহানা পারভীনের মা পানোয়ারা বেগম জানান, কাছিয়াড়া গ্রামের রফিক পাটওয়ারীর বাড়িতে গত দুই বছর যাবত চার সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকে তার মেয়ে স্ত্রী রেহানা পারভীন। রেহানার স্বামী বিদেশে থাকে। বাড়ির মালিকের স্ত্রী খুকি বেগমের সাথে বিভিন্ন সময় খুঁটি-নাটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হতো রেহানার। ২৭ সেপ্টেম্বর সে রকমই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রেহানা পারভীনের পেটে সজোরে লাথি দেয় খুকি বেগম। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অসুস্থ অবস্থায় রেহানাকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্মরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকার হলি ফ্যামেলী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে রেহানার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন রেহানার পেটে লাথি দেয়ার কারণে তার জরায়ু ফেটে যায়। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 

সর্বাধিক পঠিত