আমরা যে যার ধর্ম পালন করি না কেনো, আমাদের সৃষ্টিকর্তা কিন্তু একজনই : বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সকল জেলায় বর্তমানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে বলে আমার বিশ^াস। সকল জেলার চাইতে মনে হচ্ছে চাঁদপুরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনেক ভালো। এখানে সকল ধর্মের মানুষ একত্রে চলাচল করায় অনেক ভালো লাগছে। শারদীয় দুর্গোৎসব চলাবস্থায় আপনাদের সহযোগিতার আহ্বান জানাই। আমরা যে যার ধর্ম পালন করি না কেনো, আমাদের সৃষ্টিকর্তা কিন্তু একজনই। চাঁদপুরের মানুষও অনেক পরিচ্ছন্ন এবং লেকটিও খুবই সুন্দর। এখানে যারা আছেন তারা যাতে করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখেন সেই প্রত্যাশা করছি।
গতকাল ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে চাঁদপুর শহরের মিশন রোডস্থ রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশন  পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কদিন পরেই আমাদের শারদীয় দুর্গোৎসব। আশা করছি এই উৎসবে সকলেই সহযোগিতা করবেন। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমি ব্যক্তিগত সফরে এসেছি। এটি কোনো সরকারি সফর নয়। চাঁদপুরের ইলিশ অনেক সুস্বাদু। বহুদিন পূর্বে চাঁদপুরে ইলিশ খেয়েছিলাম। ইলিশের সেই স্বাদ আমার এখনো মনে পড়ে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসিম উদ্দিন, রামকৃষ্ণ আশ্রমের মহারাজ স্বামী স্থিরাত্মানন্দজী, আশ্রমের সহ-সভাপতি দেবেস চন্দ্র সাহা দেবু, গুয়াখোলা কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ফোকাস মোহনার উপদেষ্টা ও আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক মোহাম্মদ শওকত আলী ও দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মিজান লিটন।
এর আগে তিনি সকালে লঞ্চযোগে সপরিবারে চাঁদপুরে আসেন। এরপরে জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহাসিক মেহের কালীবাড়ি মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তারসহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।