• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অধ্যক্ষ ফেন্সি হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

‘আমরা কোনো আইনজীবীর সহায়তা পাচ্ছি না, লিগ্যাল এইডের আইনজীবীরও অপারগতা’

প্রকাশ:  ০৯ আগস্ট ২০১৯, ১১:৪৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির খুনের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে তার পরিবারের স্বজনরা। ৭ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন করেন স্বজনরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সির বড় ভাই মোঃ নঈম উদ্দিন খান, মামলার বাদী মোঃ ফোরকান উদ্দিন, অধ্যক্ষ ফেন্সির তিন মেয়ে ফারজানা জহির, ডাঃ ফারহানা জহির পাপড়ি ও ডাঃ ফাতিমা জহির পুষ্পসহ এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুরের বহুল আলোচিত খুন অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সি হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম এক বছর পেরুলেও মামলার কোনোরূপ অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। নিহত শাহীন সুলতানা ফেন্সি ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি বেগম আইভী রহমান ও অধ্যাপিকা খালেদা খানমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়িকা হিসেবে ১৯৯২ খ্রিঃ হতে ১৯৯৮ খ্রিঃ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং জাতীয় মহিলা সংস্থা চাঁদপুরের চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৯৬ খ্রিঃ হতে ২০০১ খ্রিঃ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি চাঁদপুর মহিলা কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নিহত ফেন্সির বড় ভাই, তিন মেয়ে ও মামলার বাদীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যক্ষ ফেন্সি ৪ জুন ২০১৮ তারিখে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর শেখ বাড়ি রোডস্থ নিজ বাসভবনে তার স্বামী অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী (১ম স্ত্রীর অসম্মতিতে গোপনে বিয়ে করা) জুলেখা বেগমের চাচাতো ভাই কতর্ৃৃক খুন হন। আসামী অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির প্রভাবশালী আইনজীবী হওয়ায় বিচার কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে যে, আসামীদের পক্ষে সকল আইনজীবী। আমরা কোনো আইনজীবীর সহায়তা পাচ্ছি না। লিগ্যাল এইড হতে আমাদেরকে আইনজীবী দেয়া হলেও ওই সকল আইনজীবী প্রভাবশালী আসামীদের ভয়ে আমাদের পক্ষে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমতাবস্থায় মামলার সুষ্ঠু বিচার হতে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আসামী জামিন নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। আর আমরা বাদী পক্ষ নিহত শাহীন সুলতানার মেয়ে ফারহানা জহির ইটালী থাকি এবং ফারজানা জহির জার্মানী থাকি। ঈদুল ফিতরের পর আমরা বাংলাদেশে আসলে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা হত্যাকা-ের সুষ্ঠু বিচার ও আমাদের নিরাপত্তার জন্যে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

সর্বাধিক পঠিত