• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধাকে গণপিটুনির ঘটনায় মামলা

প্রকাশ:  ১৩ জুলাই ২০১৯, ১১:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জের ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের নারকেলতলা গ্রামে নিশ্চিত না হয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী ৬০ বছরের এক বৃদ্ধাকে গণপিটুনি দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মানসিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা মাহমুদা বেগমের ছেলে মাহফুজ বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় ১১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাহমুদা বেগমকে নির্মমভাবে গণপিটুনি দেয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের নজরে আসলে পুলিশ ভিডিও ক্লিপ দেখে এ পর্যন্ত ৫জনকে আটক করতে সমর্থ হয়। অন্যদের চিহ্নিত করে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাছির উদ্দিন। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আটককৃত ৫জন হচ্ছে সুমন (২৮), জলিল (৫০), ইউছুফ (৩০), ইব্রাহীম (২৮) ও জসিম (২০)। এদেরকে গতকাল শুক্রবার সকালে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে।
মানসিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা মাহমুদা বেগমের ছেলে মাহফুজের একটি ভিডিও ফুটেজ ওসি ফরিদগঞ্জ-এর ফেসবুক পেইজে ছাড়া হয়। সেখানে তিনি তার মায়ের মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণ এবং নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা জানান। একই সাথে এভাবে না জেনে না বুঝে অমানুষিকভাবে আর কাউকে নির্যাতন না করার অনুরোধ জানান তিনি। ২০০৫ সালে তার ছোটবোন নিখোঁজের পর থেকে তার মা মানসিক ভারসাম্য হারান বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বৃদ্ধা মাহমুদা বেগম চাঁদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম সকদি গ্রামের বিল্লাল মুন্সীর স্ত্রী। দু’দিন পূর্বে তিনি তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের নারকেলতলা গ্রামের নোয়া বাড়ির সামনে বৃদ্ধাকে দেখে বাড়ির লোকজনের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এক পর্যায়ে লোকজন তাকে বেঁধে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে যেতে গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনির এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গণি বাবুল পাটওয়ারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন। পরে তার কাছে থাকা জিনিসপত্র খুঁজে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। একই সাথে পুলিশ গণপিটুনির সাথে সংশ্লিষ্ট ৫জনকে আটক করে।
ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অহিদুল ইসলাম জানান, ছেলেধরা সন্দেহে এভাবে গণপিটুনি দিয়ে আইন হাতে তুলে নেয়া অপরাধ। মামলার অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

 

 

সর্বাধিক পঠিত